চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে (সিপিইসি) আফগানিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তালেবান।
সিপিইসিতে যুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশের পাশাপাশি সংগঠনটির নেতারা এ নিয়ে চাপ দিচ্ছে বলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে।
সিপিইসিতে যুক্ত হওয়ার তালেবানের আকাঙ্ক্ষাকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ তালেবানের সিপিইসিতে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছাকে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ হিসেবে মন্তব্য করেন।
রাজধানী ইসলামাবাদে সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। রশিদ বলেন, ‘পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির মাধ্যম সিপিইসি।
‘চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পেরে পাকিস্তান গর্বিত। চীন বিষয়ে তালেবান পাকিস্তানের মতো একই দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করলে তা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক হবে।’
সিপিইসিতে আফগানিস্তানকে অন্তর্ভুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ এবং চাপ তালেবানের এক মুখপাত্র দেয় বলে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়।
শনিবার চীনকে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে উল্লেখ করে তালেবান।
ওই দিন তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশ পুনর্গঠনে চীনের সহায়তা দরকার আফগানিস্তানের।
পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির খনিতে থাকা কপার, লিথিয়ামের মতো মূল্যবান সম্পদ উত্তোলনেও চীনকে আহ্বান জানায় তালেবান।
দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের অর্থনীতি ত্রাণ সহায়তাসহ বাইরের দেশের অন্যান্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
২০ বছর পর ১৫ আগস্ট কাবুল পতনের মাধ্যমে আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবান।
এর পরপরই বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফিনল্যান্ড আফগানিস্তানে অর্থসহায়তা স্থগিত করে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপক আকারে অনাহার ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে আফগানিস্তান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবিওআর) প্রকল্প। ছবি: তেহরান টাইমস
এর আগে চীনের বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশল ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের (ওবিওআর) প্রতি সমর্থন রয়েছে বলে জানান তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ।
বেশ কয়েকটি বন্দর, রেললাইন, মহাসড়ক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মাধ্যমে আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে ওবিওআর প্রকল্পের আওতায় যুক্ত হতে চায় চীন।