মিয়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। এর ফলে বিধিনিষেধের কবলে পড়বে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র ও অর্থসহায়তা দেয়া বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিল্প প্রতিষ্ঠান হুতু গ্রুপ অফ কোম্পানিজ ও এর প্রতিষ্ঠাতা তায় জার ওপর বলবৎ হবে লন্ডনের নতুন নিষেধাজ্ঞা। জব্দ করা হবে ওই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ ও তাদের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হয়ে অস্ত্র কেনাবেচায় জড়িত ছিল পক্ষগুলো। ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযানের জন্যও তহবিল দিয়েছিল তারা।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারের মানুষের ওপর বর্বর হামলা বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে। অন্যান্য মিত্র দেশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থেকে জান্তার অর্থসহায়তা ও অস্ত্রবাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুসহ নিরীহ মানুষকে হত্যায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রমকে সমর্থন দেয়া ব্যক্তিরাও ছাড় পাবে না।’
নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্রিটেনে হুতু গ্রুপ ও তায় জার সব সম্পদ জব্দ হবে এবং শিল্পপতি তায় জা যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন না।
চলতি বছর সেনা অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের ওপর আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাজ্য। নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো জেমস এন্টারপ্রাইজ, ইকোনমিক করপোরেশন ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড।
চলতি বছরের জুলাইয়ে মিয়ানমারের কমপক্ষে চারজন মন্ত্রী ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিষদের তিন সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে এক হাজারের বেশি অভ্যুত্থানবিরোধীর। সামরিক শাসনের বিরোধিতা করায় এখনও আটক আছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ।