আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
তালেবান এক নেতার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যদিও প্রতিবেদনে ওই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। তবে তারাও তালেবানের কোনো কর্তাব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়, হামলায় ১৩ আমেরিকান সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৮ জন। তাদের চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি বোমা হামলার খবর পাওয়া যায়। তবে পেন্টাগন বলছে, দুটি নয়, বিস্ফোরণ হয়েছে একটি।
হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটের শাখা ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান প্রভিন্স বা আইএস-কে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের খুঁজে বের করে প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
হামলার পর শুক্রবার পুরোদমে উদ্ধারকাজ শুরু করতে পেরেছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এ দিন কাবুল বিমানবন্দর থেকে ৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ জানায়, দুই সপ্তাহে কাবুল বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট সেনারা ১ লাখ ১১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছেন।
তালেবানের সঙ্গে চুক্তির সময়সীমা হিসেবে ৩১ আগস্টেই উদ্ধারকাজ শেষ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের কাছে ছেড়ে দেবে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র কাবুলে আরও হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এ জন্য তাদের নাগরিক ও আফগান নাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি।
বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পরাশক্তিটি।