আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরপরই পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে আরেকটি বিস্ফোরণ হয়েছে।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি টুইটবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিরবি টুইটবার্তায় বলেন, অ্যাবে গেটে বিস্ফোরণে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়।
তিনি বলেন, অ্যাবে গেটের কাছে ব্যারন হোটেলে আরেকটি বোমা হামলা হয়েছে।
কাবুলের একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬০ আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তালেবানের এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণে শিশুসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় তালেবানের বেশ কয়েকজন রক্ষী আহত হয়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটে প্রথম বিস্ফোরণটি হয়। বিস্ফোরণের পরপরই গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
এর আগে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল, আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের উদ্ধার তৎপরতার শেষ পর্যায়ে কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলার কারণে বিস্ফোরণ হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণে আহতদের ঘটনাস্থল থেকে সরানো হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সতর্কবার্তায় আফগানদের কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবিলম্বে ছাড়তে বলা হয়।
বিস্ফোরণের পরপরই কিরবি টুইটবার্তায় বলেন, ‘কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করছি। বিস্ফোরণে কতজন হতাহত হয়েছে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।’
দেশ ছাড়তে উদগ্রীব আফগানরা বিমানবন্দরের বাইরে ভিসা-প্রক্রিয়ার জন্য যেখানে অপেক্ষা করছিল, সেখানে বিস্ফোরণটি হয় বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়।