ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্লাইমাউথ শহরে একটি বাড়িতে বন্দুকধারীর হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ হামলা হয় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘আগ্নেয়াস্ত্রজনিত মারাত্মক ঘটনার’ খবর পেয়ে সন্ধ্যা প্রায় ছয়টা ১০ মিনিটে প্লাইমাউথের কিহ্যাম এলাকার বাড়িটিতে যান আর্মড পুলিশ ও প্যারামেডিকরা।
ডেভন অ্যান্ড কর্নওয়াল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্দুকধারীর গুলিতে দুই নারী ও দুই পুরুষ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয় এক নারীর।
লুক পোলার্ড নামের এক পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) জানান, ‘বর্ণনাতীত ভয়াবহ’ ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে এক কিশোরীও রয়েছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্ভাব্য হামলাকারী আরও এক পুরুষ ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। প্রত্যেকের মৃত্যুই গুলির আঘাতে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’
ডেভন অ্যান্ড কর্নওয়াল পুলিশ ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মনে করছে না।
যুক্তরাজ্যে কড়া শর্ত মেনে বন্দুকের মালিকানা নিতে হয়।
বিশ্বে যেসব রাষ্ট্রে সবচেয়ে কম বন্দুক সহিংসতা হয়, তার একটি যুক্তরাজ্য। দেশটিতে বন্দুক হামলার ঘটনা বিরল।
১৯৯৬ সালে স্কটল্যান্ডের ডানব্লেন শহরে একটি প্রাথমিক স্কুলে এক ব্যক্তি গুলি চালিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৭ জনকে হত্যার পর বন্দুকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কড়া ব্যবস্থা নেয় ইউরোপের প্রভাবশালী দেশটি।