ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভূমি ধসে পাথরের আঘাতে সেতু ভেঙে পড়ায় নয় পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
ওই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিন জন।
রাজ্যের সাংলা উপত্যকায় রোববার এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, উঁচু পাহাড়ের গা ভেঙে পাথরের বড় বড় খণ্ড হঠাৎ উপত্যকায় গড়িয়ে পড়ছে। ওই সময় পাথরের একটি চাঁই নিচে সেতুর মাঝ বরাবর আঘাত করে। এতে সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, পাহাড়ের নিচে থাকা গাড়িগুলোতে একের পর এক পাথরখণ্ড পড়ছে।
হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলার এসপি সাজু রাম রানা বলেন, ‘নিহতদের সবাই পর্যটক। তাদের বহনকারী গাড়িতে পাথরের আঘাত লাগে।’
তিনি বলেন, ‘আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে চিকিৎসকদের একটি দল অবস্থান করছে।’
ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঠাকুর টুইটবার্তায় বলেন, ‘পর্যটক বহনকারী গাড়ি ভূমিধসের কবলে পড়ে। এতে গাড়িতে থাকা নয় জনের মৃত্যু হয়। আহত হন দুজন।
‘এক পথচারীও ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমি (নরেন্দ্র মোদি) তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’
দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি।
এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার রুপি দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়।
হিমাচল প্রদেশে ভারী বর্ষণে ভূমিধসের সতর্কবার্তা সম্প্রতি দিয়েছিল ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত কয়েক বছর ধরে পার্বত্য রাজ্যটিতে প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।