বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংসদ অধিবেশন থেকে বরখাস্ত তৃণমূলের শান্তনু

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২১ ১৪:৩৮

সকালে অধিবেশন শুরু থেকেই উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু শান্তনু সেনের প্রসঙ্গ তুলে জানান, বর্ষাকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলোতে ‘অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয়’ আচরণের জন্য শান্তনু সেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য শান্তনু সেনকে।

রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পেগাসাস কাণ্ডে বিবৃতি পড়ছিলেন। এ সময় তার হাত থেকে কাগজ ছিড়ে ফেলে দেন তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন।

সংসদের এ অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিয়েছিলেন সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরন। সেই নোটিশেই সম্মতি দেওয়া হয়েছে শুক্রবার।

সকালে অধিবেশন শুরু থেকেই উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু শান্তনু সেনের প্রসঙ্গ তুলে জানান, বর্ষাকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলোতে ‘অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয়’ আচরণের জন্য শান্তনু সেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এরপরই তৃণমূলের সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার কাগজ ছেঁড়ার ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী নিজের আসন ছেড়ে শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। অসংসদীয় বাক্যও প্রয়োগ করেছিলেন।

ডেরেকের প্রশ্ন, ‘অন্য অভিযুক্ত কেন ছাড় পেলেন?’

তৃণমূল কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভের জেরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয় রাজ্যসভা।

ঈদের ছুটির পর বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন। এতে একাধিকবার স্থগিত করে দিতে হয় রাজ্যসভার কার্যক্রম।

পরে পেগাসাসকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের জবাব দিতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কিন্তু বিরোধীদের বিক্ষোভে তিনি বক্তব্য পেশ করতে পারেননি।

বক্তব্যের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর সঙ্গে তুমুল বাক-বিতণ্ডা শুরু করেন তৃণমূলের শান্তনু সেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান বিরোধী সাংসদদের সংযত ব্যবহারের অনুরোধ জানানোর পরই ফের একবার অশ্বিনী বৈষ্ণব বক্তব্য শুরু করেন। কিন্তু বক্তব্য শুরু করতেই তৃণমূলের সাংসদ তার হাত থেকে ওই কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে হাওয়ায় উড়িয়ে দেন।

এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির সাংসদরা। পরে মার্শালদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত নিন্দা করেন।

সংসদের বাইরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষি লেখিও সমালোচনা করে বলেন, ‘বিরোধিতার জন্য তৃণমূল এত নিচে নামতে পারে! দেশের ভাবমূর্তি খারাপ করবে, এমন কাজও তারা করতে পারে।’

অন্যদিকে শান্তনু সেন বলেন, ‘সভা মুলতবি হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই হরদীপ পুরী আমাকে অভদ্রভাবে ডাকেন। আমি তার কাছে যাওয়ার পর হুমকি দিতে শুরু করেন। আমাকে গালিগালাজ করেন।

‘এমনকি হামলারও চেষ্টা হয়। আমাকে পুরো ঘিরে ফেলা হয়েছিল। সহকর্মীরা সেটা দেখতে পেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

এ বিভাগের আরো খবর