কাবুল সরকারের সহযোগিতায় ভারতের সঙ্গে জোট বেঁধে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করবে না রাশিয়া।
তবে তালেবানের সম্প্রতিক উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে চায় তারা।
ভারতের রুশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বুধবার এ কথা জানান। ট্রিবিউন নিউজ সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দূতাবাসের উপপ্রধান রোমান বাবুশকিন বলেন, ‘আফগানিস্তান সম্পর্কে আমাদের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে। তবে স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই পরিস্থিতিতে সেখানে বিদেশি সামরিক হস্পক্ষেপের প্রয়োজন নেই। আমরা এ নিয়ে এখনই ভাবছি না। প্রয়োজন হলে কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) মাধ্যমে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। সমন্বয় বজায় রাখাই আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তাদের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। রাশিয়াও দিচ্ছে। সব রাস্তাই খোলা রয়েছে।’
সিএসটিও একটি ছয় জাতির জোট। রাশিয়া ছাড়া এ জোটের বাকি সদস্যরা হচ্ছে, আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, বেলোরাশিয়া ও কিরগিজস্তান।
রাশিয়া মনে করে, নতুন তালেবান ঐক্যবদ্ধ নয়। বরং বহুভাগে বিভক্ত। কিছু কট্টোরপন্থী রয়েছে যারা লড়াই চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বাকিরা রাজনৈতিক সমাধান প্রত্যাশী।
বাবুশকিন বলেন, ‘আমরা বহু প্রতিশ্রুতি শুনেছি। এখন তাদের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
ভারত বরাবরই কাবুল সরকারকে সমর্থন জুগিয়ে আসছে। আফগান সরকারকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহায়তার পাশাপাশি তাদের ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিরক্ষা ইনস্টিটিউশনে প্রশিক্ষণ দেয়ার সুযোগও করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
তিনি বলেন, তালেবানের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগের বিষয়টিতে রাশিয়ার সমর্থন রয়েছে। কারণ তালেবান আফগানিস্তানের বাস্তবতা। আর যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থানের পরিপ্রিক্ষিতে তারা আফগান আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।
রাশিয়ার দূত বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় ওই অঞ্চলের সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয়সাধান জরুরি।’