সম্পর্কের চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সোমবার ফোনালাপ হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দীর্ঘ ১৮ বছরের শাসনামলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলা এরদোয়ান শনিবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর দুই দিন পরই ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হলো এরদোয়ানের।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় শনিবার জানিয়েছিল, এরদোয়ান বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে বলেছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দমন-পীড়নে চুপ থাকবে না তুরস্ক।
চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের টানা ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সময় জায়নবাদী রাষ্ট্রটির কড়া সমালোচনা করে তুরস্ক।
ওই সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেছিল দেশটি। পাশাপাশি ফিলিস্তিন অঞ্চল রক্ষায় বিশ্বশক্তিকে একত্র করারও অঙ্গীকার করে তুরস্ক।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপকালে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে তুরস্ক-ইসরায়েল সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এরদোয়ান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মতপার্থক্য থাকলেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপে তুলে ধরা হয়।
এরদোয়ান ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হারজোগকে জানান, জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের স্থায়ী দুই রাষ্ট্র সমাধান দেখতে চায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
বিদ্যুৎ, পর্যটন, প্রযুক্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টকে জানান এরদোয়ান।
২০১০ সালে তুরস্কের একটি সংস্থার জাহাজের বহর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।