টুইটারের সঙ্গে ভারত সরকারের দ্বৈরথ অব্যাহত। বারবার ডিজিটাল আইন নিয়ে সরকারের তোপের মুখে পড়েছে জ্যাক ডোরসের সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটি।
টুইটারকে দেশের আইন মানতে হবে- এ দাবিতে বারবার টুইটারকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল ভারত সরকার।
বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে টুইটার জানিয়েছে, আট সপ্তাহের মধ্যে তারা স্থায়ী গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করবে।
১১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট প্রকাশ করারও কথা জানিয়েছে টুইটার।
অবশ্য তাতে সুর নরম হয়নি ভারতের নতুন তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রীর।
সাবেক মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের চেয়ারে বসে প্রথম দিন থেকে সে মেজাজই বজায় রাখলেন নতুন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
দায়িত্ব নিয়েই তার হুঁশিয়ারি, ‘দেশের আইনই শেষ কথা। টুইটারকে তা মানতে হবে।’
ভারতে ডিজিটাল আইন কায়েম হওয়ার পর থেকে টুইটারের সঙ্গে একাধিকবার সংঘাত হয়েছে দেশটির সরকারের।
নতুন ডিজিটাল আইনের শর্ত প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে কেন্দ্রের শেষ নোটিশে সেই শর্ত মানতে বাধ্য হয় টুইটার।
তবু শর্তমতো গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করেনি টুইটার।
প্রথম গ্রিভেন্স অফিসার ধর্মেন্দ্র চতুর কেন্দ্রের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
কারণ কেন্দ্র জানিয়েছিল কোনও তৃতীয় পক্ষের ব্যক্তি এই স্থায়ী পদে থাকতে পারবেন না।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মচারী জেরেমি কেসেল টুইটারের গ্রিভেন্স অফিসার হয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন ডিজিটাল নীতিতে পরিষ্কার বলা রয়েছে, এ পদে থাকতে পারবেন একজন ভারতীয়ই। তাই সেই নিয়োগও নিয়মের বাইরে।
এরপর আদালতে টুইটার জানিয়েছে, আট সপ্তাহের মধ্যে তারা স্থায়ী গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করবে।
দিল্লি হাইকোর্টকে টুইটার বলেছে, ‘ভারতীয় কাউকে অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করতে আরও আট সপ্তাহ সময় লাগবে।
‘ভারতে একটি জনসংযোগ অফিস তৈরির বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। এ অফিসে নতুন আইটি বিধি অনুযায়ী সব অভিযোগ জানানো যাবে।’
তবে প্রথম দিনই যেভাবে টুইটারকে হুঁশিয়ারি দিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, সেখান থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রের হয়ে যথেষ্ট কঠোর পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
আইটি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ভারতের রেল মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে অশ্বিনী। ওড়িশা থেকে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য তিনি।
এর আগে আমলা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অশ্বিনী।