কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী স্ট্যান স্বামীর মৃত্যতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারত সরকার। সরকারের সমালোচনায় পিছিয়ে নেই আন্তর্জাতিক মহলও।
আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউএনএইচসিআর মঙ্গলবার টুইটারে এ নিয়ে বিবৃতি দেয়।
এতে বলা হয়, ‘বিনা বিচারে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর সোমবার মৃত্যু হয় ৮৪ বছর বয়সী মানবাধিকারকর্মী স্ট্যান স্বামীর।
‘তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত ও উদ্বিগ্ন। যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়া যাদের আটক করা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত তাদের মুক্তি দেয়া।’
টুইটার ছাড়াও ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফাদার স্ট্যানকে গ্রেপ্তারের পর জামিন ছাড়াই বিচারাধীন বন্দি হিসেবে আটকে রাখা হয়।
‘২০১৮ সালের একটি বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসবাদসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’
থ্রোসেল বলেন, ‘স্ট্যান দীর্ঘদিন ধরে একজন সমাজকর্মী ছিলেন। বিশেষত আদিবাসী ও প্রান্তিক মানুষের অধিকারের পক্ষে সরব ছিলেন তিনি।
‘মুম্বাইয়ের তালোজা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। সেখানে তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন। তার জামিনের আবেদন বারবার খারিজ হয়।’
টুইটারে স্ট্যান স্বামীর ছবিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাকস্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং সংগঠন করার কারণে কাউকে আটক করা উচিত নয়।’