বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিতে আফগানিস্তান

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২১ ১২:০৬

ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে জেনারেল মাইলার বলেন, ‘আফগানিস্তানের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো নয়। যা যা ঘটছে এরই মধ্যে, সেগুলো মাথায় রাখলে এখনই চোখের সামনে গৃহযুদ্ধ দেখতে পাচ্ছি। গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার। এটা সারা বিশ্বের জন্যই উদ্বেগের বিষয়।’

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পর গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ধীরে ধীরে তেমন পরিস্থিতির দিকে দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন সেনা কমান্ডার জেনারেল স্কট মাইলার। তিনি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন মিশনের প্রধান।

মে মাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহার করবে দেশটি।

এর মধ্যেই আফগানিস্তানের চার শতাধিক জেলার মধ্যে ১০০টির বেশি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির ধর্মভিত্তিক সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন তালেবান।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের সামনে ‘খুব কঠিন সময়’ রয়েছে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেন জেনারেল মাইলার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর যদি দেশটির রাজনৈতিক পক্ষগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, তাহলে বড় ধরনের হুমকি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।’

এর আগে তালেবান যোদ্ধারা বিভিন্ন জেলার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মাধ্যমে রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলছে বলে সতর্ক করে জাতিসংঘ।

একই ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে জেনারেল মাইলার বলেন, ‘আফগানিস্তানের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো নয়। যা যা ঘটছে এরই মধ্যে সেগুলো মাথায় রাখলে এখনই চোখের সামনে গৃহযুদ্ধ দেখতে পাচ্ছি। গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার। এটা সারা বিশ্বের জন্যই উদ্বেগের বিষয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া শান্তিচুক্তি তালেবান লঙ্ঘন করছে এবং সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগান সেনারা আকাশপথে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা পাচ্ছে না বলেই তালেবানের দৌরাত্ম্য বাড়ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমান হামলার শঙ্কাও উড়িয়ে দেননি মাইলার। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না বিমান হামলা চালাতে। কিন্তু বিমান হামলা বন্ধে তালেবানকে সহিংসতার পথ ছাড়তে হবে।’

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারসহ কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, ক্ষমতাচ্যুত করে তালেবানকে। নাইন ইলেভেনের হামলার হোতা নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ও অন্যান্য নেতাদের আশ্রয় দিয়েছিল তালেবান।

বিদেশি ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম এই যুদ্ধ শুরুর ২০ বছর পর আফগানিস্তান ছাড়ছে দেশটির সেনারা।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তান আর পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে জিহাদিদের ষড়যন্ত্রের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে না বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরই শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার।

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিরও দাবি, নিজ দেশের সেনাবাহিনী জঙ্গিবাদ রুখতে সক্ষম।

কিন্তু দেশটি আবারও তালেবানের ঘাঁটি হয়ে উঠবে বলে উদ্বিগ্ন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল রাখতে সেনা প্রত্যাহারের পরও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। কিন্তু সে সহায়তা সামরিক হবে না।

এদিকে, ন্যাটোর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে নিয়োজিত জার্মান সেনাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বার্লিন। আফগান ভূখণ্ড থেকে মঙ্গলবার শেষ সেনাবহরটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে দেশটিতে দুই দশকের সামরিক অভিযানে ইতি টেনেছে জার্মানি।

২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন করেছে প্রায় দেড় লাখ জার্মান সেনা।

এ বিভাগের আরো খবর