পাকিস্তান করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজস্ব টিকা তৈরি করতে সফল হবে বলে দাবি করেছেন লাহোরের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির (ইউভিএএস) অধ্যাপক ড. তাহির ইয়াকুব।
এ বিষয়ে ড. তাহির জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে একটি খরগোশকে করোনার টিকাটি প্রয়োগ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম নিজস্ব টিকার ট্রায়ালের ফলের অপেক্ষায় রয়েছি। দ্বিতীয় ধাপে বানরের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে টিকাটি।’
দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগির পাকিস্তান নিজস্ব করোনাভাইরাস টিকা তৈরি করতে সফল হবে।’
দ্য নেশনের বরাত দিয়ে জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউভিএএস পাকিস্তানের নিজস্ব করোনাভাইরাস টিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা ইউএভিএস কর্মকর্তারা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারকে দিয়েছেন। টিকা প্রস্তুতের জন্য ১০ কোটি রুপি তহবিল বরাদ্দ দিতে সম্মত হয়েছেন মন্ত্রী।
ইউভিএএসের পরিচালক ড. তাহির বলেন, ‘আমরা টিকা তৈরির জন্য ছয় মাসের সময়সীমা চেয়েছি। টিকা উদ্ভাবনের জন্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।’
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলেও এ বিষয়ে তেমন কোনো আলাপ-আলোচনা নেই পাকিস্তানে। এমন অবস্থায় দেশটিকে টিকা সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুইং গত ২৩ জানুয়ারি জানান, তাদের সরকার ইসলামাবাদকে উপহার হিসেবে কিছু টিকা দেবে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে টিকা রপ্তানির প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে চীনের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে তাড়া দেবে।
এ বিষয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে চুইং বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির শুরু থেকেই অসুবিধাগুলো উত্তরণে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বন্ধুপ্রতীম ছয়টি দেশে ভারত উপহার হিসেবে করোনা প্রতিরোধী টিকা পাঠানো পর পাকিস্তানকে টিকা সহায়তা দেয়ার খবর দিল চীন।
অন্যদিকে, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন্স অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি) কর্মসূচির আওতায় ভারতে উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকার সাড়ে ৪ কোটি ডোজ যাচ্ছে পাকিস্তানে।
চলতি মাসেই টিকা পাকিস্তানে পৌঁছাবে বলে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিকে গত ১০ মার্চ জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি আশরাফ খাওয়াজা।