বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহার ধীরগতিতে হতে পারে: পেন্টাগন

  •    
  • ২২ জুন, ২০২১ ২০:১১

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘তালেবান হামলা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। সহিংসতার পাশাপাশি জেলা শহরে হানা দিচ্ছে ওই সংগঠন।’

আফগানিস্তানের কয়েকটি অঞ্চল তালেবানের দখলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের গতি ধীর হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

কিরবি বলেন, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা আগের মতোই রয়েছে। তবে প্রত্যাহারের গতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

গত সপ্তাহে পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার-প্রক্রিয়া প্রায় অর্ধেক শেষ হয়েছে।

চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা এপ্রিলে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিশ্বের সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।

সেনা প্রত্যাহারে ন্যাটোর ঘোষণার পরপরই আফগানিস্তানে সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

গত মাসে আফগানিস্তানজুড়ে হামলা বাড়িয়ে দেয় তালেবান। দেশটির ৩০টির বেশি জেলা দখলে নিয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির।

তালেবানের ভাষ্য, আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় কুনদুজ প্রদেশের প্রায় পুরোটাই এখন সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে। শুধু প্রদেশটির রাজধানী আফগান সরকারের দখলে রয়েছে।

আফগান পুলিশ বার্তা সংস্থা এপিকে জানায়, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুনদুজ প্রদেশের রাজধানী কুনদুজের চারদিক ঘিরে রয়েছে তালেবান।

২০১৫ সালে অল্প সময়ের জন্য ওই রাজধানী দখল করেছিল তালেবান। পরে এটি ন্যাটো-সমর্থিত আফগান সরকারের বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পেন্টাগনের মুখপাত্র কিরবি বলেন, ‘তালেবান হামলা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। সহিংসতার পাশাপাশি জেলা শহরে হানা দিচ্ছে ওই সংগঠন।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়ার গতিতে পরিবর্তনের দরকার হলে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করব।

‘আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা প্রতিদিন লক্ষ করছি। সেখানে আমাদের সক্ষমতা ও সেনা প্রত্যাহারে বাড়তি রসদের প্রয়োজনীয়তার দিকেও নজর দেয়া হচ্ছে। যথাযথ সময়ে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

২০০১ সালে তালেবানকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে হটায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। নিউ ইয়র্কে ৯/১১ হামলায় জড়িত আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনসহ সংগঠনের অন্য নেতাদের আশ্রয় দিয়েছিল তালেবান।

এ বিভাগের আরো খবর