বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানে ‘সত্যিকারের’ ইসলামি শাসন চায় তালেবান

  •    
  • ২০ জুন, ২০২১ ১৭:৩৯

তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আফগানিস্তানের সব অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে সত্যিকারের ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই শ্রেষ্ঠ উপায়। শান্তি আলোচনার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সব বিষয় সমাধানে বিশ্বাসী আমরা।’

আফগানিস্তানে স্বস্তি ফেরাতে চলমান শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তালেবান থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও দেশটিতে সত্যিকারের ইসলামি ব্যবস্থা কায়েম করার কথাও বলছে তারা।

ওই শাসনব্যবস্থায় দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নারী অধিকারসংক্রান্ত বিধান রাখা হবে বলে জানিয়েছে তালেবান।

ধর্মীয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে রোববার এসব মন্তব্য আসে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার পর দেশের শাসনব্যবস্থা কেমন হবে, তা নিয়ে খোদ দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।

‘আফগানিস্তানের সব অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে সত্যিকারের ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই শ্রেষ্ঠ উপায়। শান্তি আলোচনার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সব বিষয় সমাধানে বিশ্বাসী আমরা।’

তালেবান নেতা আব্দুল গনি জানান, আফগানিস্তানে নারী ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেয়া হবে। এ ছাড়া কূটনীতিক ও এনজিও কর্মীরা নির্বিঘ্নে তাদের কাজ করতে সক্ষম হবেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।ঐশ্বর্যমণ্ডিত ইসলাম ধর্মের নীতি ও আফগান সমাজের উন্নত ঐতিহ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে নারী-পুরুষ সবাই যেন তাদের অধিকার ভোগ করতে পারেন, সে বিষয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের শিক্ষিত করার পাশাপাশি নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করারও সুযোগ দেয়া হবে বলে জানান আব্দুল গনি।

তবে সরকারি দায়দায়িত্বে আফগান নারীরা কাজ করতে পারবেন কি না বা কর্মস্থল ও স্কুল নারী-পুরুষভেদে আলাদা হবে কি না, সে বিষয়ে পরিষ্কার করেননি তালেবান নেতা।

চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্লেষকরা জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে ইসলামি চরমপন্থি দল ফের ক্ষমতায় এলে দেশটির নারী অধিকারের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।

২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। ক্ষমতায় থাকাকালে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল দেশটিতে। পাশাপাশি ঘরের বাইরে কাজ করারও অনুমতি ছিল না আফগান নারীদের।

এ বিভাগের আরো খবর