অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কমনরুম থেকে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি সরিয়ে দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ম্যাগডালেন কলেজের মিডল কমন রুমের (এমসিআর) সদস্যরা এই ছবিটিকে ‘সাম্প্রতিক ঔপনিবেশিক ইতিহাসের’ প্রতীক বলে মনে করেন।
তবে শিক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন এই পদক্ষেপকে ‘পুরোপুরি উদ্ভট’ বলে মন্তব্য করেন।
ম্যাগডালেন কলেজের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তটি কলেজ কর্তৃপক্ষের নয়, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নেয়া।
এ বিষয়ে মতামত পেতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সোমবারের এমসিআর কমিটির বৈঠকের পর একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
সেখানে বলা হয়, ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত ছিল এমন সব দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে কমনরুমের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কোনো কোনো শিক্ষার্থীর কাছে রানির এমন প্রতিকৃতি স্মরণ করিয়ে দেয় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থাকে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রতিকৃতি সরিয়ে দেয়ার পক্ষে ভোট দেন ১০ জন। বিপক্ষে ভোট পড়ে দুটি। আর ভোটদানে বিরত ছিলেন ৫ জন।
শিক্ষার্থীদের এক প্রতিনিধি বলেন, “এমনভাবে রানিকে ‘বাতিল’ করার প্রক্রিয়া একটি ভয়াবহ বার্তা ছড়িয়ে দেয় যা অনেককে ক্ষুদ্ধ করতে পারে।’’
অন্য আরেকজন বলেন, ‘আমরা রানিকে বাতিল করতে সক্ষম নই। কমনরুম আমাদের জন্যে একটি অসাম্প্রদায়িক স্থান এবং সব শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন সে জন্যেই এ পদক্ষেপ নেয়া।’
ম্যাগডালেন কলেজের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার দিনাহ রোজ বলেন, ‘ভোটে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রতিনিধি ছিলেন না। তবে তাদের ‘বাকস্বাধীনতা’ এবং ‘রাজনৈতিক বিতর্কের’ অধিকারকে আমরা সমর্থন করি।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে, আনুমানিক ২০১৩ সালে তারা কমনরুমটি সাজানোর জন্য রানির একটি ছবি সেখানে টাঙিয়ে দেন।’