আম্পান ও ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে কলকাতায় অনেক গাছের ক্ষতি হয়। গাছের অভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের সন্ধানে হাজার হাজার পাখি অন্য জেলা বা রাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
এ সংকট দূর করতে প্রচুর ফলের গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পথের ধারে, জলাশয়ের পাশে, ছোট-বড় বিভিন্ন পার্কের চারদিকে পাখিদের খাদ্যাভ্যাসের কথা মাথায় রেখে আম, কাঁঠাল, জাম, পেয়ারা, বরই ও আমলকী গাছের চারা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আম্পানে শহরের ১৫ হাজার বড় গাছ উপড়ে যায়। ইয়াসে ৪০-৫০টি গাছ উপড়ে গেছে। পুরসভা প্রায় ৫০ হাজার নিম, দেবদারু গাছ লাগিয়েছে। এবার পাখিদের জন্য ফলের গাছ লাগানো শুরু হয়েছে।’
পুরসভার উদ্যোগে প্রথম দফায় শনিবার ফলের পাঁচ হাজার গাছ রোপণের কাজ শুরু হয়। তবে শহরে ফলের ২৫ হাজার গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
পরিবেশকর্মী তমাল হালদার বলেন, ‘পাখিরা শহরে এলেও লকডাউনের জন্য সব বন্ধ থাকায় চাল, ডাল, গমের মতো খাবার আর ফলের গাছের অভাবে শহর ছাড়ছে তারা।’
পুরসভার ফলের গাছ লাগানোর উদ্যোগ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তমাল।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনে প্রশাসক ও বিধায়ক দেবাশীষ কুমার দেশপ্রিয় পার্কে মেহগনি গাছ রোপণ করে বলেন, ‘পাখিদের খাদ্যাভ্যাসের কথা ভেবে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আম, জাম, সবেদা, আমলকীর একটু বড় চারা লাগানো হচ্ছে।
‘প্রতিটা গাছের উচ্চতা হবে ৮-১০ ফুট। লোহার তৈরি বেড়া দিয়ে ঘেরা থাকবে চারা গাছগুলো। প্রতিদিনের নজরদারিতে থাকবেন পুরকর্মীরা।'
পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘শহরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে গাছ লাগানোর পাশাপাশি কার্বন কমাতে বেশিসংখ্যক গ্রিন বাস চালানো হবে।’