বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলের নতুন সরকারে আশা দেখছে না ফিলিস্তিনিরা

  •    
  • ৪ জুন, ২০২১ ১৫:৩৫

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ‘গত কয়েক দশকে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সরকার দেখেছে ফিলিস্তিন। ডান, বাম, মধ্যপন্থি- যে নামেই সেসব সরকারকে ডাকা হোক না কেন, আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের প্রশ্নে এসব পন্থার সরকারের কর্মকাণ্ড বরাবরই শত্রুতাপূর্ণই ছিল। সম্প্রসারণবাদ নীতি থেকে তারা কেউই একচুলও নড়েননি।’

ইসরায়েলের সরকার সম্ভাব্য পরিবর্তনে খুব একটা আশার আলো দেখছে না অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় বসবাসরত অনেক ফিলিস্তিনি।

তাদের ভাষ্য, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উত্তরসূরিরা ডানপন্থি এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করবেন। এতে ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

নেতানিয়াহুর একসময়ের রাজনৈতিক মিত্র ও পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী সংগঠনের সাবেক প্রধান ৪৯ বছর বয়সী নাফতালি বেনেট জোট সরকারের অধীনে ইসরায়েলের ক্ষমতায় বসার পথ প্রায় পাকা করে ফেলেছেন।

ইসরায়েলের মধ্যপন্থি দল ইয়েশ আতিদের নেতা ইয়ার লাপিদ ও ডানপন্থি ইয়ামিনা পার্টির নেতা বেনেট বুধবার রাতে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরাতে নতুন জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছান। এর মাধ্যমে ইতি ঘটতে যাচ্ছে ইসরায়েলের ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনামলের।

ইসরায়েলের নতুন সরকার নিয়ে আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রতিনিধি বাসিম আল-সালহি।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট নেতানিয়াহুর চেয়ে কোনো অংশে কম চরমপন্থি নন।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করা পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ইসরায়েলের কর্তৃত্বেই রাখার কড়া সমর্থক ছিলেন বেনেট।

অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কিছুটা কমানোর কথা বলেন ইসরায়েলের ডানপন্থি এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন বিষয়ে আমি মনে করি, সংঘাত কমানো উচিত। সমাধান আমাদের হাতে নেই। তবে যেসব ক্ষেত্রে পরিস্থিতি উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে তা করার চেষ্টা করব আমরা। আরও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প স্থাপন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের মাধ্যমে এসব করা সম্ভব।’

ইসরায়েলের আসন্ন সরকার পরিবর্তন নিয়ে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ভাষ্য, ইসরায়েলের ক্ষমতায় যে-ই আসুক, তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ‘গত কয়েক দশকে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সরকার দেখেছে ফিলিস্তিন। ডান, বাম, মধ্যপন্থি- যে নামেই সেসব সরকারকে ডাকা হোক না কেন।

‘আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের প্রশ্নে এসব বিভিন্ন পন্থার সরকারের কর্মকাণ্ড বরাবরই শত্রুতাপূর্ণই ছিল। সম্প্রসারণবাদ নীতি থেকে তারা কেউই একচুলও নড়েননি।’

ফিলিস্তিনের জাতায়তাবাদী দল বালাদ পার্টির নেতা সামি আবু শেহাদেহ বলেন, নেতানিয়াহুর ব্যক্তিত্ব আলোচ্য বিষয় নয়। ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলি নীতিই মুখ্য বিষয়।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের সরকারপ্রধানদের ব্যক্তিত্বে নয়, বরং তাদের নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে চাই আমরা। নেতানিয়াহুর আগেও পরিস্থিতি ভালো ছিল না। নীতি একই থাকলে নেতানিয়াহুর পর যে-ই ক্ষমতায় আসুন না কেন, সব আগের মতোই থাকবে। এ জন্যই আমরা নতুন জোট সরকারের বিরোধিতা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর