বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এভারেস্টের চূড়া ‘দেখলেন’ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী

  •    
  • ৩০ মে, ২০২১ ২০:৩৬

৪৬ বছর বয়সী ঝাং হং বলেন, ‘মনোবল যদি দৃঢ় থাকে, তাহলে কোনো কিছু অর্জনে শারীরিক অক্ষমতা বাধা হতে পারে না। দৃষ্টিশক্তি হারানো বা হাত-পা না থাকা- এসব প্রতিবন্ধকতা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো ধর্তব্যেই পড়ে না।’

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন ঝাং হং নামে চীনের এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাগরিক। এশীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যিনি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্বে এভারেস্ট জয় করা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি তৃতীয়।

৪৬ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘মনোবল যদি দৃঢ় থাকে, তাহলে কোনো কিছু অর্জনে শারীরিক অক্ষমতা বাধা হতে পারে না। দৃষ্টিশক্তি বা হাত-পা না থাকা- এসব প্রতিবন্ধকতা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ধর্তব্যেই পড়ে না।’

তিন গাইডসহ গত সোমবার ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার উচুঁ এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান ঝাং। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার বেজ ক্যাম্পে ফিরে আসেন তারা।

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চংকিংয়ে জন্ম নেয়া ঝাং ২১ বছর বয়সে গ্লুকোমায় আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারান।

যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পর্বতারোহী ইরিক ওয়েহেনমায়ের ২০০১ সালে এভারেস্ট জয় করেছিলেন। ওই ঘটনা সে সময় নাড়া দেয় ঝাংকে। নিজের ভেতরে অনুপ্রেরণা বোধ করেন তিনি। বন্ধু ও মাউন্টেন গাইড কিয়াং জির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করেন ঝাং।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর মাউন্ট এভারেস্টে চড়া বন্ধ করে নেপাল সরকার। চলতি বছরের এপ্রিলে বিদেশিদের জন্য তা ফের খোলা হয়।

সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয়ের পর ঝাং বলেন, ‘চূড়ায় আরোহণের সময় খুব ভীত ছিলাম। কারণ কোথায় পা রাখছি, তা দেখতে পাচ্ছিলাম না। নিজের মাধ্যাকর্ষণের কেন্দ্রস্থল অনুধাবন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই মাঝেমধ্যে পড়েও যাচ্ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘পর্বতে চড়া সহজ নয়। অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আমাকেও হতে হয়েছে। বাধা-বিপত্তি আরোহণেরই অংশ। বিপদ থাকবেই। আরোহণের এটাই মজা।’

এ বিভাগের আরো খবর