পাকিস্তানি ১৮ বছর বয়সী এক নিখোঁজ কিশোরীর মরদেহ খুঁজে বেড়াচ্ছে ইতালির পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের কথায় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করেছে পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশের বরাত দিয়ে শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সামান আব্বাস নামের ওই কিশোরীকে হত্যার অভিযোগে তার মা-বাবা, এক চাচা ও চাচাতো দুই ভাইকে নিয়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশ কর্মকর্তা স্তেফানো বোভ বলেন, সামানকে হত্যায় তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কুয়া, খাল ও গ্রিনহাউসে তাকে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে।
ইতালির উত্তরাঞ্চলে নভেলারা শহরের বাসিন্দা সামান গত বছর বিয়ে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া করে। পাকিস্তানে বসবাসরত এক কাজিনের সঙ্গে সামানের বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে তার পরিবার। আর এতে সম্মতি ছিল না ওই কিশোরীর।
গত বছরের নভেম্বরে ঘর ছেড়ে ইতালির সামাজিক সেবা সংস্থার সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায় সামান। পরিবারের সঙ্গে বিবাহসংক্রান্ত বিবাদের বিষয়টি সে পুলিশকেও জানায়। চলতি বছরের ১১ এপ্রিল সামান আবার মা-বাবার কাছে ফিরে যায়।
৫ মে সামানের বাসায় যায় পুলিশ। সেখানে কাউকে পায়নি না তারা। ওই দিন থেকে কিশোরীটিকে সন্ধানের পাশাপাশি এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তারা জানতে পারেন, সামানকে না নিয়েই পাকিস্তানে চলে যায় তার পরিবার। কিশোরীটির বাসার কাছের নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের শঙ্কা, সামান হয়তো আর বেঁচে নেই।
ফুটেজে দেখা যায়, ২৯ এপ্রিল রাতে সামানের বাসা থেকে পাঁচ ব্যক্তি বের হন। তাদের হাতে বেলচা, শাবল ও বালতি ছিল। আড়াই ঘণ্টা পর তারা ঘরে ফেরেন।
ওই পাঁচ ব্যক্তিকে সামানের পরিবারের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
এদিকে শুক্রবার রাতে নভেলারার টাউন হলে নিখোঁজ সামানের জন্য আয়োজিত সংহতি সমাবেশে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ।
সমাবেশে নভেলারার মেয়র ইলিনা কারলেত্তি বলেন, ‘সামান, তুমি একা নও। তুমি কখনো একা হবে না।’