মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যুদ্ধবিরতির পরপরই মধ্যপ্রাচ্যে নিজের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চার দিনের সফরের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণে নিজের দেশের অঙ্গীকারের কথা জানান ব্লিঙ্কেন। পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সহায়তা আদায়ে ওয়াশিংটন কাজ করবে বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পশ্চিম জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ব্লিঙ্কেন।
বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরাও আত্মরক্ষার অধিকার রাখি। হামাস ফের রকেট হামলা শুরু করলে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে।’
১০ মে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। সংঘর্ষ চলে টানা ১১ দিন। গত বৃহস্পতিবার মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
টানা ১১ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয় ৬৫ শিশুসহ ২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয় প্রায় দুই হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ।
অন্যদিকে গাজা থেকে ছোড়া রকেটে নিহত হয় দুই শিশুসহ ১২ ইসরায়েলি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ফের সহিংসতা ঠেকাতে বিভিন্ন ইস্যু ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা জরুরি। গাজায় মানবেতর পরিস্থিতি সামলানো ও ভূখণ্ডটি পুনর্নির্মাণের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু সম্ভব।’
তিনি বলেন, গাজাবাসীর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি দেশটি নিজেও এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অংশীদারদের সঙ্গে এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করব আমরা। গাজা পুনর্গঠনে হামাস যাতে সহায়তার কোনো ভাগ না পায়, অংশীদারদের সঙ্গে মিলে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।’
ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজাবাসীর কাছে জ্বালানি, ওষুধ ও খাদ্য পৌঁছে দিতে বিভিন্ন সংস্থাকে এরই মধ্যে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
জেরুজালেম সফর শেষে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লায় পশ্চিমা দেশ সমর্থিত ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করবেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এরপর মিসর ও জর্ডানে যাবেন তিনি।