বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ৮১% কার্যকর

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ০০:৫১

গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। মে মাসের গোড়ার দিকে এই ধরনকে উদ্বেগজনক হিসেবে নথিভূক্ত করে সংস্থাটি। এর সংক্রামক ক্ষমতা অত্যন্ত দ্রুত। প্রাণঘাতি ক্ষমতাও সাধারণ ভাইরাসের চাইতে অনেক বেশি।

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুই ডোজ ৮১ শতাংশ কার্যকর। আর টিকার এক ডোজ ভাইরাসের এই বিশেষ ধরন প্রতিরোধে কাজ করে ৩৩ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যে চালানো এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এই সমীক্ষায় দেখা যায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা ভারতীয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে অনেক বেশি কার্যকর।

এই টিকার দুই ডোজ ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে ৮৭ শতাংশ কার্যকর। আর এক ডোজ টিকা নিলে তা ৫১ শতাংশ কার্যকর হবে। অর্থাৎ একডোজ টিকার ডবল ডোজের তুলনায় কম কাজ করে।

এই সমীক্ষার জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকা নিয়েও কাজ করেছেন সমীক্ষাকারীরা। এতে দেখা যায়, করোনার বিরুদ্ধে এই টিকাগুলো প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।

ইংল্যান্ডের গণস্বাস্থ্য দপ্তর পরিচালিত সাপ্তাহিক নজরদারি প্রতিবেদনে গত বৃহস্পতিবার জানানো হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা ৮০শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৫৩ শতাংশ।

টিকা দেয়ার চার থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রথম ডোজের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ৫৮ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজের পর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।

ফাইজার-বায়োএনটেকের ওপর করা একই ধরনের পরীক্ষায় দেখা গেছে, দুই ডোজে এর কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ। এক ডোজে ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

তবে ইংল্যান্ডের গণস্বাস্থ্য দপ্তর জানায়, বিষয়টি নিয়ে এখনও পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত কিছু বলার সময় এখনও আসেনি।

যুক্তরাজ্যে টিকা দেয়া কার্যক্রম দ্রুত গতিতে চলছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইংল্যান্ডে আগামী ২১ জুনের মধ্যে লকডাউন তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যমতে, গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। মে মাসের গোড়ার দিকে এই ধরনকে উদ্বেগজনক হিসেবে নথিভূক্ত করে সংস্থাটি। এর সংক্রামক ক্ষমতা অত্যন্ত দ্রুত। প্রাণঘাতি ক্ষমতাও সাধারণ ভাইরাসের চাইতে অনেক বেশি।

এটি ছাড়াও যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এ বিভাগের আরো খবর