ফিলিস্তিনের সমর্থনে রোববার নির্ধারিত সমাবেশে কোনো ধরনের অ্যান্টি-সেমিটিক বা বর্ণবাদী আচরণ বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
শনিবার তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত ১০ মে রাত থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে সহিংসতা ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধ হয়। মিসরের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ওই ১১ দিন জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়।
জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, ‘রাস্তাঘাটে ইহুদিদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করলে বা বর্ণবাদে উসকানি দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যারা করবে, তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।’
মেরকেল বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিত ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার বিষয় জার্মানির সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। তবে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ বা তাদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত, বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ বা অশ্রদ্ধার ঠাঁই সংবিধানে নেই।
গত শনিবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ মিছিল সহিংস রূপ নেয়। ওই সময় ৬০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে জার্মান পুলিশ। আহত হয় এক শর মতো পুলিশ কর্মকর্তা।
গত এক সপ্তাহে জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরে মিছিলে অংশ নেয়া কর্মীরা অ্যান্টি-সেমিটিক স্লোগান দেয়, যাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন মেরকেল। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজন ইসরায়েলের পতাকা পোড়ায়। ইহুদিদের ধর্মীয় একটি উপাসনালয় লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়।