ফিলিস্তিনের ওপর ‘জাতিবিদ্বেষী’ ইসরায়েলের হামলা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ ও মুসলমানপ্রধান রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকারও অঙ্গীকার করেছে দেশটি।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে স্থানীয় সময় রোববার চিঠি পাঠায় ইরানের নিরাপত্তা পরিষদ, বিচার বিভাগ ও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা হাই কাউন্সিল অব হিউম্যান রাইটস অব ইরান। এতে ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ ও ‘জাতিগত নিধনের’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গাজা ভূখণ্ডে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নীরবতা, অস্পষ্ট বক্তব্য ও ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সাফাই ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যকার দীর্ঘদিনের লড়াই চিরস্থায়ী করছে বলে মনে করে ইরান।
এতে ইসরায়েলের ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের’ স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানায় হাই কাউন্সিল অব হিউম্যান রাইটস অব ইরান। পাশাপাশি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিশন গঠন, জাতিসংঘের সব সদস্যরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ ও মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সব সংগঠনকে কাজে লাগানোরও আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাস্তুচ্যুত সব ফিলিস্তিনিকে মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনা এবং পরে গণভোটের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাই চলমান সমস্যা সমাধানের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
গাজায় ১০ মে থেকে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় রোববার পর্যন্ত ৫৮ শিশুসহ কমপক্ষে ১৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, হামাস যোদ্ধাদের ছোড়া রকেট হামলা থেকে নিজেদের রক্ষায় গাজায় বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে হামাসের ভাষ্য, ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে মুসলমানদের পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় হামলার জবাবে রকেট হামলা হচ্ছে।