বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলকাতার শেষ জমিদার পরিবার

  • অসিত পুরকায়স্থ, কলকাতা   
  • ১৬ মে, ২০২১ ২২:৫২

সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের আদি নিবাস পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমানের আমাটিতে। এই বংশের ১৯তম পুরুষ পঞ্চানন গঙ্গোপাধ্যায় আমাটি ছেড়ে হুগলির গোপালপুরে বসতি স্থাপন করেন। পঞ্চানন গঙ্গোপাধ্যায় মোঘল সাম্রাজ্যের পাঠান বাহিনীতে যুদ্ধ কৌশলবিদ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তার বীরত্বের জন্য খান উপাধি লাভ করেন।

ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হলে জমিদারি প্রথা বাতিল করে, সব ভূমি ফেডারেল সরকারের অধীনে চলে আসে ।

পূর্ববঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫১ সালে ১৬ মে আইন সভায় পাস হয়। এর দুই বছর পর ১৯৫৩ সালে ভারতের সংবিধানেও একই রকম একটি আইন প্রবর্তন করা হয়। ফলে সরকার আর জনগণের মধ্যে কোনো মধ্যবর্তী সুদ থাকেনি। সামন্ত প্রভুদের হাত থেকে মুক্তি পায় জনগণ।

জমিদারি প্রথা বিলোপের পর কোনো কোনো জমিদার জমি হস্তান্তরের ক্ষতির কারণে মামলা করেন। পরে অবশ্য তাদের কিছু কিছু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করে আদালত।

ব্রিটিশদের আসার আগে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার ছিল কলকাতার জমিদার। ১৬৯৮ সালের ১০ নভেম্বর সুতানুটি, কলকাতা, গোবিন্দপুর গ্রাম তিনটি সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের কাছ থেকে ইজারা নেয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

কথিত আছে, সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার গ্রাম তিনটি ব্রিটিশদের দিতে রাজি ছিলেন না। ব্রিটিশরা মুঘল দরবারে ঘুষ দিয়ে গ্রাম তিনটির ইজারা নেন বার্ষিক ১৩০০ টাকা রাজস্বের বিনিময়ে।

সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের আদি নিবাস পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমানের আমাটিতে। এই বংশের ১৯তম পুরুষ পঞ্চানন গঙ্গোপাধ্যায় আমাটি ছেড়ে হুগলির গোপালপুরে বসতি স্থাপন করেন। পঞ্চানন গঙ্গোপাধ্যায় মোঘল সাম্রাজ্যের পাঠান বাহিনীতে যুদ্ধ কৌশলবিদ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তার বীরত্বের জন্য তিনি খান উপাধি লাভ করেন।

পরে হালিশহর, উত্তরপাড়া, বিরাটি, বড়িশাতে এই পরিবারের প্রভাব বিস্তার লাভ করে।

পরিবারের ২১ তম পুরুষ জিয়া গঙ্গোপাধ্যায় সন্ত কামদেব ব্রহ্মচারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন ।

১৬০৮ সালে জিয়া গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে লক্ষ্মীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় রাজা মানসিংহের থেকে প্রচুর ভূসম্পত্তি জায়গির হিসেবে লাভ করেন। মোগল সম্রাট আকবর তাদের রায় ও জাহাঙ্গীর চৌধুরী উপাধি দেন।

সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ পারিবারিক ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষার প্রচেষ্টায় একটি সাবর্ণ সংগ্রহশালা করেছে। এটি গবেষণা ও প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে কাজ করে।

সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের পক্ষ থেকে ২০০১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করে দাবি করা হয়, ইংরেজ সওদাগর জব চার্নক সত্যিই কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কিনা খতিয়ে দেখা হোক।

কলকাতা হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ১৬ মে রায় দেয় জব চার্নক কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না।

এ বিভাগের আরো খবর