গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার ইসরায়েল ‘ঘোরতর লঙ্ঘন’ করেছে মনে করছে সৌদি আরব। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সমাধান চেয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ভার্চুয়াল বৈঠক শুরুর প্রথম দিন রোববার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২০ লাখ জনবসতিপূর্ণ গাজায় ইসরায়েলের টানা ভয়াবহ বিমান হামলার এক সপ্তাহ পর রোববার ওআইসির ৫৭ সদস্য রাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে জরুরি বৈঠকে বসে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত সোমবার থেকে চলমান সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৮৮ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৫২টি শিশু।
গাজায় বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় বিমান হামলার মধ্য দিয়ে ইসলামের পবিত্র স্থানের শুদ্ধতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের নিজেদের মাতৃভূমি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
‘পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনিদের। আমরা এর ওপর কোনো আঘাত সহ্য করব না।’
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ ও দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা আবার শুরু করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান বিন ফারহান।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলের হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বৈঠকে অংশ নেয়া ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষের জাগরণ এটাই প্রমাণ করেছে, জেরুজালেম হচ্ছে চূড়ান্ত সীমানা। এর বাইরে কারো প্রবেশ গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের জনগণ ইসরায়েলের হত্যা যন্ত্রে হার মানবে না।’
মালিকি বলেন, ‘আল্লাহকে জানানো জরুরি, আমরা শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিরোধ করব। দীর্ঘদিন ধরে আমরা দখলদারদের হাতে বন্দি। এটাই এ অঞ্চলে সমস্যার মূল কারণ। অহেতুক ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।’
ভার্চুয়াল এ বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জানান, জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক রেজ্যুলেশন, আরব পিস ইনিশিয়েটিভ এবং কোয়ার্টার রোডম্যাপের মেনেই ফিলিস্তিনি ইস্যুতে একটি ব্যাপক ও টেকসই সমাধানে বিশ্বাসী বাংলাদেশ।
মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ হিসাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আল-কুদস আল শরীফ এবং দখলকৃত জমিতে সহিংসতা ও সুরক্ষা লঙ্ঘনের বিষয়টি উত্থাপন করা উচিত।’