ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ফিলিস্তিনের সংগ্রামরত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে গ্রাফিতি আঁকায় এক শিল্পীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বের করা মিছিল থেকে অন্তত ২০ কাশ্মীরিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনগণের লড়াইয়ে সংহতি জানিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মিছিল বের করে কাশ্মীরের জনগণ। ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান সহিংসতা ও গত সোমবার থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা বিমান হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে রাস্তায় নামে তারা। ওই সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত গ্রাফিতিশিল্পী মুদাসির গুল শ্রীনগরের বাসিন্দা। ৩২ বছর বয়সী গুলকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে শিল্পীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তার পরিবার।
গুলের বোন মুজামিল ফিরদাউস বলেন, ‘কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? সরকার কি এখানে শিল্পকর্ম নিষিদ্ধ করেছে?’
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের নৃশংসতা নিয়ে পুরো বিশ্ব কথা বলছে। আমরা কথা বলতে পারব না? ফিলিস্তিনিদের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করতে পারব না?’
ফিরদাউস বলেন, ‘শুক্রবার একদল তরুণ গ্রাফিতি আঁকাতে আমার ভাইয়ের কাছে আসে। তারা তাকে বলে, এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো হবে।’
গুলের আঁকা ফিলিস্তিনের পতাকা মাথায় কান্নারত এক নারীর গ্রাফিতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। গ্রাফিতিটির শিরোনামে লেখা, ‘আমরা ফিলিস্তিনি।’
ফিরদাউস বলেন, ‘গুল একজন শিল্পী। তাকে গ্রেপ্তার করায় আমরা বিস্মিত। তার জীবন ধ্বংস হোক, তা আমরা চাই না। ছবি আঁকা তার জীবিকা।
‘স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ভুগছেন গুল। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বেশি দিন কারাগারে রাখা হলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হবে।’
গত সোমবার রাত থেকে গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৫২ শিশুসহ ১৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নারকীয় হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।