ভারতের ১২টি প্রধান বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দিয়ে দেশে কোভিডের সংক্রমণ রোধে কেন্দ্রকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে। ওই চিঠিতে করোনা সংক্রমণকে একটি ‘সর্বজনীন মানব ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে যে আটটি পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে টিকা, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করা, কৃষি আইন বাতিল করা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা অতীতে বারবার এককভাবে এবং যৌথভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যা কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে আপনার সরকার এই সব পরামর্শ উপেক্ষা করেছে বা প্রত্যাখ্যান করেছে। যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
চিঠিতে আরও দাবি করা হয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক—সম্ভাব্য সব উৎস থেকে টিকা কেন্দ্রীয়ভাবে সংগ্রহ করতে হবে। দেশীয় টিকা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাধ্যতামূলক লাইসেন্সিং করতে হবে। টিকাগুলোর জন্য বাজেটের বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করতে হবে। সেন্ট্রাল ভিস্তার নির্মাণ বন্ধ করে অক্সিজেন এবং টিকার জন্য অর্থ ব্যবহার করতে হবে। পিএম কেয়ারসসহ অ্যাকাউন্টবিহীন বেসরকারি ট্রাস্ট তহবিল এ থাকা সমস্ত অর্থ টিকা, অক্সিজেন এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে ব্যবহার করতে হবে। বেকারদের জন্য মাসে ৬ হাজার রুপি ভাতা দিতে হবে। অভাবগ্রস্তকে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে বিতরণ করতে হবে। কোভিডের শিকার কৃষকদের রক্ষার জন্য কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।
মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ছাড়া দেশের সব প্রধান বিরোধীদল চিঠিতে সই করেছে। চিঠিতে সই করা নেতারা হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, শিবসেনা প্রধান ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, ডিএমকে নেতা ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার নেতা ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আব্দুল্লাহ, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব, সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং সিপিআই-এর সম্পাদক ডি রাজা।