ভারতে করোভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের গ্রাফ এবার নিম্নমুখী হবে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই আশার বাণী ‘কেমব্রিজ জাজ বিজনেস স্কুল’-এর।
সমীক্ষায় দাবি, সে দেশের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ শিখর ছুঁয়েছে। গত দু’দিন ধরে কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এবার ধীরে ধীরে সেই গ্রাফ নিম্নমুখী হবে। লাগাতার চার লাখ ছাড়িয়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে গত দুই দিনে। সাড়ে তিন লাখের নিচেই ঘোরাফেরা করছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
এবার সংক্রমণ কমার গতি অব্যাহত থাকবে বলেই জানাল কেমব্রিজের গবেষণা। কেমব্রিজ জাজ বিজনেস স্কুল অ্যান্ড দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক সোশ্যাল রিসার্চের দাবি, সামগ্রিকভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও অসম, হিমাচল প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও ত্রিপুরায় আক্রান্তের সংখ্যা আগামী দুই সপ্তাহ বাড়বে।
একই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপদেষ্টা ও আইআইটি কানপুরের গবেষক মনীন্দ্র আগরওয়ালও।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তথা আইআইটি হায়দরাবাদের অধ্যাপক মথুকুমালি বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, ‘আমাদের আন্দাজ আর কয়েকদিনের মধ্যেই করোনা শিখরে উঠবে।’
মনীন্দ্র আগরওয়ালের গাণিতিক মডেলের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি জানান, পূর্বাভাস অনুযায়ী জুন মাসের শেষের দিকে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২০ হাজারে নেমে যাবে।
কিন্তু মৃত্যু হ্রাসের নিরিখে এখনও আশা দেখাতে পারেনি ওই সমীক্ষা। তাদের মত, সংক্রমণ শিখর ছুঁলেও করোনায় মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।
তারা বলছে, ভারতের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিষেবা খুবই উদ্বেগজনক। অক্সিজেন, আইসিইউ শয্যা, ওষুধের অভাব। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আগামী কয়েক দিন মৃত্যু চার হাজারের আশেপাশেই থাকবে।
গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও, সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে সেই সমীক্ষা। তাদের পরামর্শ, ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ভাইরাস সক্রিয় তার সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। এই প্রজাতি অনেক দ্রুত ছড়ায়। এমনকি করোনার টিকার মাধ্যমে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেই অ্যান্টিবডিও অনেক সময় এই ভাইরাসকে রুখতে ব্যর্থ হয়। ফলে টিকা নেয়ার পরও অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বি.১.৬১৭ প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক’ তকমা দিয়েছে।