বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় ভারতীয় রেলের ২০০০ কর্মীর মৃত্যু

  •    
  • ১২ মে, ২০২১ ১২:১৫

ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা জানান, গত বছর মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় রেলের ১ হাজার ৯৫২ জন কর্মী মারা গেছেন। অন্তত ৪ হাজার কর্মী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি।

করোনাভাইরাসে সংক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি ভারতীয় রেল। গত এক বছরে ভারতীয় রেলের প্রায় ২ হাজার কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

এদের মধ্যে আছেন স্টেশন মাস্টারসহ বহু সম্মুখ সারির কর্মী। দৈনিক হাজারেরও বেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় পরিষেবা চালু রাখার বিষয়ে নাজেহাল ভারতীয় রেল।

রেল মন্ত্রণালয় এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে।

রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা জানান, গত বছর মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় রেলের ১ হাজার ৯৫২ জন কর্মী মারা গেছেন। অন্তত ৪ হাজার কর্মী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি।

তিনি বলেন, ‘রেল তো আর অন্য রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের থেকে আলাদা নয়। আমাদেরও করোনা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মালপত্র ও যাত্রী পরিবহন করতে হবে। দৈনিক হাজার খানেক কর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। রেল হাসপাতালে বেড বাড়ানো হয়েছে। অক্সিজেন প্ল্যান্টও তৈরি করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের খেয়াল রাখা হচ্ছে।’

পাশাপাশি অল ইন্ডিয়া স্টেশন মাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মহামারির জেরে ১১৩ জন স্টেশন মাস্টারের মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর আরপিএফের অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন রেল বোর্ড ও অন্য ডিভিশন ম্যানেজারদের চিঠি লিখে জানিয়েছে, অবিলম্বে কর্মীদের জন্য বিশেষ ৫০ লাখ টাকার বিমা ঘোষণা করা হোক। সবার দ্রুত টিকাকরণ করানো হোক। করোনায় ধুঁকছেন রেলকর্মীরা। স্টেশন মাস্টাররা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অধস্তন কর্মীদের ওভারটাইম করতে হচ্ছে।

রেলের কর্মী সংগঠনের দাবি, গত এক বছরে ১ লাখের বেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সুস্থ হয়েছেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুনীল কুমার বলেন, ‘মহামারির জেরে লকডাউনের সময় থেকে স্টেশন মাস্টার ও অন্য ফ্রন্টলাইন কর্মীরা করোনাযোদ্ধার মতো লড়াই করছেন। দেশের চাকা ঘোরানোর গুরুদায়িত্ব তাদের কাঁধে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, রেলকর্মীদের কথা সরকার ভাবছে না।’

অন্যদিকে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও গবেষণা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত সবাইকে যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বা এখনও হচ্ছে এমনটা নয়। যারা উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের হোম আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা চলছে। সুস্থও হচ্ছেন।

হোম কোয়ারেন্টিনে যারা করোনাকে হার মানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে করোনার গুরুতর প্রভাব দেখার সম্ভাবনা খুব কম বলে জার্নালে দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‌সার্স–কভ–২-এ আক্রান্ত হওয়ার পর যাদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি, তাদের মধ্যে আগামী দিনে করোনার গুরুতর প্রভাব দেখতে পাওয়ার আশঙ্কা কম।’‌

স্বাস্থ্য বিমার নথিভুক্তিকরণ, ডাক্তারদের রেকর্ড মিলিয়ে ডেনমার্কের জনসংখ্যার উপর একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে।

অনেক কোভিড রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সুস্থ হয়ে ওঠার পর কখনও কখনও জটিল শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি কোভিড চিকিৎসার জন্য, তাদের মধ্যে এই ধরনের কোনো জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে সেরে ওঠার পরও অনেকেই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।

এ বিভাগের আরো খবর