বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ: গবেষণা

  •    
  • ৯ মে, ২০২১ ২০:৫০

আইআইটি কানপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে চূড়ায় পৌঁছাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। জুন মাসের শেষ থেকে কমতে শুরু করবে সংক্রমণের গতি, যা থিতু হবে জুলাইয়ে।

চলতি বছরের অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়বে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে এর প্রভাব সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে পারছেন না গবেষকেরা।

সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করে ভারতের আইআইটি কানপুর। অধ্যাপক মনীন্দ্র আগারওয়ালের নেতৃত্বে ওই গবেষণায় উঠে আসে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ কবে শেষ হবে, সে কথাও।

আইআইটি কানপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে চূড়ায় পৌঁছাবে দ্বিতীয় ঢেউ। জুন মাসের শেষ থেকে কমতে শুরু করবে সংক্রমণের গতি, যা থিতু হবে জুলাইয়ে।

আইআইটি কানপুরের গবেষণায় আরও বলা হয়, মহারাষ্ট্র এরই মধ্যে সংক্রমণের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সংক্রমণের শিখরে উঠবে উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ। এরপর কমতে শুরু করবে সংক্রমণ।

মে মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শিখরে উঠলে তা অন্তত দুই সপ্তাহ শিখরেই থাকবে। এরপর আস্তে আস্তে কমবে এর প্রকোপ।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ভারতের অধিকাংশ মানুষ টিকার আওতায় চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শিশুরা তখন টিকা পাবে না। সেক্ষেত্রে তাদের ওপর করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কেমন হবে, তা আলোচনা সাপেক্ষ।

ডিলিশন-মিউটেশনের মাধ্যমে নিজের স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন এনে ক্রমান্বয়ে মারণক্ষমতা বাড়িয়েছে কোভিড-১৯। বারবার নিজের রূপ বদলালে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

করোনার ডাবল মিউট্যান্ট ধরন যার বৈজ্ঞানিক নাম বি.৬১৭ এখন রূপ বদলে বি.৬১৭.২ এ পরিণত হয়েছে, যা বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়েছে।

‘ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ হলো দুটি স্ট্রেনের মিশ্রণ। 'ই৪৮৪কিউ' ও 'এল ৪২৪আর' এ দুই স্ট্রেন মিলে তৃতীয় স্ট্রেন তৈরি হয়েছে, যা আগের চেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। এ নতুন স্ট্রেনের ফলে করোনার সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি জানিয়েছিল, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গেছে, সেখানে ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন প্রায় ৬১ শতাংশ ছড়িয়ে পড়েছে।

পাঞ্জাবে ৬৯ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ব্রিটেনের স্ট্রেন। দিল্লিতেও হানা দিয়েছে এ স্ট্রেন। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রিটেনের ধরন তো দেশে ছিলই, পাশাপাশি এ ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের বাড়বাড়ন্তের ফলে চিন্তায় স্বাস্থ্যমহল।

মিউটেশনে নিজের রূপে ফের বদল এনেছে এ ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। স্পাইক প্রোটিন থেকে একেবারে উবে গিয়েছে ই৪৮৪কিউ স্ট্রেন, যার ফলে দেখা যাচ্ছে নতুন স্ট্রেন বি.৬১৭.২।

এরই মধ্যে ওই ধরন বিশ্বের ১৭টি দেশে ছড়িয়েছে। বাংলাদেশেও মিলেছে এ ধরন। ব্রিটেন এরই মধ্যে এ বি.৬১৭.২ ধরনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর