বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে অক্সিজেন সঙ্কট মেটাতে টাস্ক ফোর্স

  •    
  • ৮ মে, ২০২১ ২১:০০

ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) মেডিকেল অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা, প্রাপ্যতা ও বিতরণের জন্য বৈজ্ঞানিক, যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে অক্সিজেন বরাদ্দকরণের পদ্ধতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নেরভিত্তিতে মূল্যায়ন ও সুপারিশ করবে।

ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ভেঙে দিয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

ভারতের একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত জোগান নেই। অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটছে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে।

এমন বাস্তবতায় অক্সিজেনের যথাযথ সরবরাহ ও কৌশল ঠিক করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এমআর শাহর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মেনে জাতীয় টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে ভারত সরকার।

টাস্ক ফোর্সে আছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ড. ভবতোষ বিশ্বাস, স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্টের চেয়ারপারসন ড. দেবেন্দ্র সিং রানা, নারায়না হেলথকেয়ার বেঙ্গালুরুর চেয়ারপারসন ও নির্বাহী সদস্য ড. দেবি প্রসাদ শেট্টি, ভেলোরের সিএমসির অধ্যাপক ড. গগনদীপ কং, ভেলোরের সিএমসির পরিচালক ড. জেভি পিটার, মেদান্ত হাসপাতাল অ্যান্ড হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারপারসন ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. নরেশ ত্রেহান।

এ ছাড়া রয়েছেন ফর্টিস হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ও আইসিইউর ডিরেক্টর ড. রাহুল পন্ডিত, স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের সার্জিক্যাল ও লিভার ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট বিভাগের প্রধান ড. সৌমিত্র রাওয়ার, দিল্লি আইএনবিএস হাসপাতালের হেপাটলজি বিভাগের প্রধান ড. শিব কুমার সোরেন, হিন্দুজা হাসপাতাল ও ব্রিচ কেন্ডি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. জারির এফ উদাইদা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব।

ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা, প্রাপ্যতা ও বিতরণের জন্য বৈজ্ঞানিক, যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে অক্সিজেন বরাদ্দকরণের পদ্ধতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও সুপারিশ করবে।

অন্যদিকে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে ভারতের কারাগারগুলোতে। যেহেতু কারাগারে কম জায়গার মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি মানুষের বসবাস, তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। দিল্লির তিহারসহ দেশের একাধিক জেলে একই চিত্র। এ অবস্থায় জেলগুলোতে বন্দির সংখ্যা শিগগিরই কমানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিশেষ কমিটি যেসব বন্দিকে জামিন দেয়ার কথা জানিয়েছিল, তাদের অবিলম্বে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।

সংক্রমণ রুখতে শনিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামণ, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে আদালতের নির্দেশে যেসব বন্দি প্যারোলে মুক্ত, তাদের যেনো আরও ৯০ দিনের প্যারোল দেয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

ভারতজুড়ে কারাগারগুলোয় বন্দির সংখ্যা ৪ লাখ। এর মধ্যে বেশ কিছু কারাগারে জায়গার তুলনায় বন্দি সংখ্যা অতিরিক্ত।

বিচারপতিরা বলেন, বন্দি ও পুলিশকর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা কারাগারে ভিড় কমানো উচিত।

করোনা সংক্রমণ শুরুর পর বহু বন্দিকে ছেড়ে দেয়া হয়। চলতি বছর তাদের আবার জেলে ফিরিয়ে আনা হয়। ওই সব বন্দিকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়োজন ছাড়া যেনো গ্রেপ্তার না করা হয়, সেই নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তারের সংখ্যা কমিয়ে ও বন্দিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে মহামারী নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

তবে অনেক সময় বন্দিরা জেল থেকে বের হতে চান না। সে কথাও মনে করিয়ে দেয় আদালত। সামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে এবং সংক্রমণের ভয়ে অনেকে জেল থেকে বের হতে চাইবেন না বলে উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত। তাই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, নিয়মিত টেস্ট করাতে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে বলেছে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর