করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৮ জনে। এর আগে দেশটিতে ১ মে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ৬৮৯ জনের।
যদিও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন শ্মশান কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি হিসাবের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। সরকারি হিসাবে হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিদের সংখ্যা ধরা হচ্ছে। অনেকেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে মারা গেলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের সেই হিসাবে ধরা হচ্ছে না।
মৃত্যুর হিসাবে ভারত এখন আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরের অবস্থানে রয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষের শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। ভারতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮।
গত তিন দিন দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছিল। তিন দিন পর বুধবার তা আবার বেড়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
ভারতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এখন পর্যন্ত মহারাষ্ট্র রাজ্যে। ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৫১ হাজার ৮৮০ জন শনাক্ত হয়েছে। এতে রাজ্যে ৪৮ লাখ ২২ হাজার শনাক্ত ছাড়িয়েছে।
কোভিড আক্রান্ত হয়ে মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৯১ জনের।
এ ছাড়া সংক্রমণ বেড়েছে কর্ণাটক, কেরালা, অসম ও দিল্লিতে।
এসব রাজ্যের অনেক হাসপাতালে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট। যদিও দেশে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখতে তরল অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার।
দেশটিতে ১ মে থেকে শুরু হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাকরণ। অনেক রাজ্যে টিকার স্বল্পতা থাকলেও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এখন পর্যন্ত ভারতে টিকা দেয়া হয়েছে ১৬ কোটি ৪ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৮ জনকে।