মিয়ানমারে বিমান বাহিনীর দুটি ঘাঁটিতে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের খবর কিংবা কারা এ হামলা চালিয়েছে, তা জানা যায়নি। কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকারও করেনি।
টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম হামলাটি হয় মধ্যাঞ্চলীয় শহর মাগওয়ের কাছে একটি ঘাঁটিতে। সেখানে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
এর কিছুক্ষণ পরই মেইকতিলা শহরে মিয়ানমারের প্রধান বিমানঘাঁটিতে আঘাত করে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলার পর ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সেনাবাহিনী।
সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিকে গ্রেপ্তার ও নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী। তখন থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি গণআন্দোলন চলছে মিয়ানমারে।
প্রায় তিন মাসের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫৬ জন বিক্ষোভকারীর।
এ সময়ে মিয়ানমারের উত্তর ও পূর্ব সীমান্তে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে সংঘাতও তীব্র হয়েছে।
ঝাপসা হয়ে আসছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আশা
চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১০টি সদস্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা। বৈঠকে সহিংসতার অবসান ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনার আহ্বান জানান তারা।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বৈঠক শেষে জানানো হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পাঁচ দফা সমঝোতায় পৌঁছেছে আসিয়ান।
কিন্তু পরে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জানায়, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবে তারা। এর আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ীই সব করা হবে।
সেনাবাহিনী বিরুদ্ধে ঐক্যমতের সরকার গঠন করেছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থিরা। সব রাজবন্দিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়েছে তারা।