বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নয়াদিল্লির সরকারি পরিসংখ্যানে ১,১৫৮ মৃত ‘নিখোঁজ’

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:০৩

নাগরিক সংগঠন মিউনিসিপাল করপোরেশন অফ দিল্লি (এমসিডি) পরিচালিত ২৬টি শ্মশানের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় মৃত ৩ হাজার ৯৬ ব্যক্তিকে দাহ করা হয়। ওই সাত দিন দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৩৮ জন বলা হয়। এর অর্থ, আরও ১ হাজার ১৫৮ জন মৃত ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। 

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে করোনাভাইরাসে মৃতদের গণচিতায় সারিবদ্ধভাবে পোড়ানোর ছবি বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় স্থান পেয়েছে। ছবি দেখে অনেকে মন্তব্য করেন, সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

নয়াদিল্লির নাগরিক সংগঠন থেকে পাওয়া তথ্য ও সাতটি শ্মশান ঘুরে এনডিটিভি জানতে পারে, কমপক্ষে ১ হাজার ১৫৮ জন করোনায় মৃতদের নাম সরকারি তালিকায় নেই।

নাগরিক সংগঠন মিউনিসিপাল করপোরেশন অফ দিল্লি (এমসিডি) পরিচালিত ২৬টি শ্মশানের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় মৃত ৩ হাজার ৯৬ ব্যক্তিকে দাহ করা হয়।

ওই সাত দিন দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৩৮ জন বলা হয়। এর অর্থ, আরও ১ হাজার ১৫৮ জন মৃত ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

দিল্লি সরকারের পরিসংখ্যাানের সঙ্গে এমসিডির পরিসংখ্যানের অমিলের কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

এদিকে দিল্লির কয়েকটি শ্মশানে আরেক চিত্র দেখা যায়।

শহরের উপকণ্ঠে গাজীপুর শ্মশানের কর্মকর্তা অনুজ বানসাল বলেন, যেসব করোনা রোগী বাড়িতে মারা যাচ্ছেন, তাদের করোনার তালিকায় রাখা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে মৃতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয়। অন্যদিকে বাড়িতে মৃতদের মরদেহ সাধারণ যানে স্বজনেরা নিয়ে আসেন। তাদের রিপোর্টে লেখা থাকে, শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যারা মারা যান, তাদের মৃত্যুর কারণ আমরা করোনা লিখি। ঘরে কারো মৃত্যু হলে তিনি করোনায় মারা গেছেন কি না, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। তাই আমরা তাদের মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক লিখি।’

শ্মশানের মতো এমসিডিও ঘরে মৃত ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করে না। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে যদি বলা হয়, করোনায় মৃত্যু হয়েছে, তখন এমসিডি বিশেষ ক্যাটাগরি ‘সাসপেক্টেডের’ তালিকায় ওইসব ব্যক্তির নাম লেখে।

গাজীপুর শ্মশানে বাবার দাহের জন্য চার ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেছিলেন মনীশ গুপ্ত ও নীল গুপ্ত।

মনীশ বলেন, ‘অক্সিজেনের অভাবে ঘরে বাবার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে যাই। ওইসব হাসপাতালে শয্যা থাকা সত্ত্বেও বাবাকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি।’

এসব বিষয়ে এনডিটিভির অনুরোধে দিল্লি সরকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর