ভারতে মে মাসের ১৪ থেকে ১৮ এই পাঁচ দিনের মধ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ থেকে ৪৮ লাখ হতে পারে।
দেশটির শীর্ষ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) প্রকাশিত মডেলে এমনটি বলা হয়।
আগামী ১০ দিন দেশটিতে দৈনিক প্রায় সাড়ে চার লাখ রোগী শনাক্ত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশটিতে গেল ছয় দিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন লাখের বেশি। প্রতিদিন সুস্থ হচ্ছেন দুই লাখের বেশি করোনা রোগী। আর রোববার পর্যন্ত দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি।
আইআইটির শীর্ষ কর্মকর্তা মানিন্দ্র আগরাওয়ালের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় মে ১৪-১৮ এই পাঁচ দিনকে সংক্রমণের ‘পিক টাইম’ হিসেবে ধরা যেতে পারে। এ সময় দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা হতে পারে তিন লাখ ৪০ হাজার থেকে চার লাখ ৪০ হাজার।
মানিন্দ্র আগরাওয়াল বলেন, ‘আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ সংক্রমণের এমন ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৮ মে’র পর থেকে সংক্রমণের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে। সংক্রমণের ভয়াবহতার উপর গাণিতিক হিসাব চালিয়ে নতুন মডেল তৈরি করা হয়েছে।’
গেল বছর ১৭ সেপ্টেম্বর দেশটিতে সর্বোচ্চ সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ লাখ। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পিক টাইমে এই সংখ্যা চার গুণ হয়ে ৪৮ লাখ হতে পারে বলে আইআইটির মডেলে উঠে এসেছে।
ভারতে সোমবার রেকর্ড ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ওই দিন মৃত্যু হয় দুই হাজার ৮১২ জনের। মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতদিন এরপরই ব্রাজিলের অবস্থান থাকলেও তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনার সংক্রমণ সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ায় দেশটির অবস্থান এখন দ্বিতীয়।