ভারতে করোনাভাইরাসের রেকর্ড সংক্রমণ, মৃত্যুতেও লকডাউনের সময় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিমত দেন।
অমিত বলেন, ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসের কারণে সংক্রমণের হার বাড়ছে। অনেক দেশেই এমন পরিস্থিতি। বিজ্ঞানীরা সবটা খতিয়ে দেখছেন। এখনও এ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার সময় হয়নি।
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির কারণে বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি হয়েছে। এ হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে গত বছরের মতো জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন কার্যকরের প্রয়োজন হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।
গত বছরের পরিস্থিতির সঙ্গে এ বছরের অবস্থার তুলনা করে অমিত শাহ বলেন, ‘আগে আমাদের কাছে করোনা মোকাবিলায় কোনো ওষুধ বা টিকা ছিল না। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। কোভিডের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামো আগের তুলনায় বেশি প্রস্তুত।
‘মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই আমরা। তাড়াহুড়া করে লকডাউন জারি করার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি।’
বিধানসভা নির্বাচন, নির্বাচনি প্রচার ও জনসভা, কুম্ভমেলার মতো ধর্মীয় উৎসবে ব্যাপক জনসমাগমের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি সতর্কভাবে মেনে চলা উচিত মন্তব্য করে অমিত শাহ বলেন, জনগণ বিধি মেনে চলছেন।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’
সব রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকা পাঠানোর আগেই বিদেশে টিকা রপ্তানি নিয়ে সমালোচনার জবাবও দেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, ‘টিকাদানে আমরা অনেক এগিয়ে। প্রথম ১০ দিনের মধ্যে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ভারতে সবচেয়ে বেশি। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকাদানে সময়ের ব্যবধান থাকে।
‘হঠাৎ চাইলেই দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায় না। আমি মনে করি না যে ভারতে টিকার ঘাটতি আছে।’
টিকা উৎপাদন ও টিকাদান কার্যক্রমে গতি বৃদ্ধি, বিদেশি টিকায় অনুমোদন, ভেনটিলেটরের সংখ্যা বাড়ানো, নতুন করোনা হাসপাতাল নির্মাণসহ মহামারির বিস্তার রোধে নরেন্দ্র মোদি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন অমিত শাহ।