বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় ভোট কীভাবে, পশ্চিমবঙ্গে সব দলের বৈঠক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০১:৪৬

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন সর্বদলীয় বৈঠকে দশটি রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায়। আলোচনা হয়, কীভাবে করোনার মধ্যে বাকি দফার ভোটাভুটি হবে।

সারা দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ভারতে করোনার পরিস্থিতি যে ভয়াবহ, তা মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।

করোনার উদ্বেগে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, কোভিড বিধি মেনেই কমিশনকে নির্বাচন শেষ করতে হবে। হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, পুলিশ দিয়ে সবকিছু হয় না। রাজনৈতিক নেতাদের সতর্ক হতে হবে। করোনা সচেতনায় উদ্যোগ নিতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘সবাইকে করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে হবে।’

নদীয়ার নবদ্বীপে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন ‘বাংলায় করোনা ছড়াচ্ছেন নরেন্দ্র মোদিজি। বিহার ইউপি, রাজস্থান থেকে লোক এনে বাংলায় করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বিজেপি।’

এদিকে দুর্গাপুরে সিপিএম প্রার্থী ঐশী ঘোষের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘রাজ্য সরকারের অব্যবস্থার জন্য আজ কোভিডের বাড়বাড়ন্ত।’

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া জাদুঘর, বিড়লা তারামণ্ডল, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো সৌধ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উদ্ভুত করোনা সঙ্কটের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার ইএসআই হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বিভিন্ন হাসপাতালে ইতিমধ্যে শয্যা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সরকারের গা ছাড়া ভাব এর জন্যে দায়ী বলে মনে করেন বিরোধীরা।

চুঁচুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার কোভিড পজিটিভ। তিনি হোম আইসোলেশনে আছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতীয় রেল এক বৈঠকে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

অন্যদিকে তিন দফার ভোট এক দফায় করার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি ট্যুইট করেন। ইলেকশন কমিশন অবশ্য সে সম্ভাবনা আগেই উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, তিন দফার ভোট এক দফায় করার মতো পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের হাতে নেই। রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোটের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন নির্বাচন কমিশন।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন সর্বদলীয় বৈঠকে দশটি রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায়।

পঞ্চম থেকে অষ্টম দফা ভোট করোনা বিধি মেনে কিভাবে নির্বিঘ্নে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সোমবারই কমিশনকে আদালতে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘করোনা বিধি মেনে ভোটের প্রচার জনসভা করা যাবে। তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত ভোটের তফসিল বদলাচ্ছে না।’

বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘করোনা বিধি মেনেই চলবে ভোটপ্রচার, এখন ভার্চুয়াল সভা করা সম্ভব নয়।’

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই আট দফা ভোটের বিপক্ষে। এতগুলো দফায় ভোটের জন্য রাজ্যে কোভিডের ছায়া। বাংলার মানুষের জীবন রক্ষা আমাদের প্রথম কাজ। ভোটের কাজে ব্যস্ত প্রশাসন, তাই কোভিড মোকাবিলা ব্যাহত হচ্ছে। কমিশনকে অনুরোধ করেছি, ভোটের দফা কমিয়ে আনার জন্য।’

শনিবার ছয় জেলার ৪৫টি কেন্দ্রে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। ব্যাপক করোনা সংক্রমণের আবহে নির্বিঘ্নে ভোট করাই এখন কমিশনের সামনে বড়ো চ্যালেঞ্জ।

এ বিভাগের আরো খবর