বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুনে ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে: ল্যানসেট

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০১:১৭

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক এ জার্নালে বলা হয়েছে, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৩২০-এ পৌঁছবে।

ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৭৫০ জনের মৃত্যু ঘটলেও আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৩২০-এ পৌঁছবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে লন্ডনের বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নাল ল্যানসেট।

ওই জার্নালে কোভিড- ১৯ কমিশনের ভারত টাস্কফোর্সের সদস্যরা এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।

‘ভারতের দ্বিতীয় কোভিড-১৯ তরঙ্গ নিয়ন্ত্রণ: জরুরি পদক্ষেপ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে সংক্রমণের বিস্তার কমাতে আশু পদক্ষেপেরও সুপারিশ করা হয়েছে।

ভারতে প্রথম পর্বে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ২৯০ জনের, সেটা ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে। তারপর ধীরে ধীরে মৃত্যু কমতে থাকে।

প্রতিবেদনের প্রাথমিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘কোভিড মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভৌগলিক বৈশিষ্টগুলোর সঙ্গে প্রথম ঢেউয়ের হুবহু মিল, যদিও এবার স্তর ২, স্তর ৩ শহরগুলির আরও গভীরে প্রবেশ করছে করোনা।’

প্রতিবেদন বলেছে, দ্বিতীয় তরঙ্গ প্রথমটির থেকে দুটি ক্ষেত্রে ভিন্ন। প্রথমত, দ্বিতীয় তরঙ্গে নতুন সংক্রমণ প্রথমবারের থেকে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে। দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় তরঙ্গে উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গের রোগীর সংখ্যা বেশি। যার ফলে বর্তমান সময় পর্যন্ত আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করার হার এবং মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তা খুবই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় তরঙ্গটি এখন পর্যন্ত আরও ভৌগলিকভাবে নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে হয়েছে। প্রথম তরঙ্গের সময়ে করোনা সংক্রমিতের মোট সংখ্যার ৫০ শতাংশ ছিল ৪০টি জেলায়। দ্বিতীয় তরঙ্গের এই সময়ে এসে বর্তমানে ২০ জেলায় আছে মোট সংক্রমণের ৫০ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে দৈনিক নতুন সংক্রমণ ১০ হাজার থেকে বেড়ে ৮০ হাজার হয়েছে মাত্র ৪০ দিনে। গত বছর সেপ্টেম্বরে যা লেগেছিল ৮৩ দিন।

এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বের হওয়া যায় তারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ল্যানসেট-এর ওই প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, তরুণ প্রজন্মকেও টিকার আওতায় আনতে হবে। শুধু ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে নয়, তার থেকে কম বয়সীদেরও টিকা দিতে হবে। এর জন্য টিকার উৎপাদন বাড়ানো, মানুষকে আরও বেশি টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

তা ছাড়া করোনাভাইরাসের বদলে যাওয়া চরিত্র বুঝতে জিনের গঠনতন্ত্র বোঝা বা ‘জিনম সিকোয়েন্সিং’-এর উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। এটাও উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ণ লকডাউন সমম্যার সমাধান করতে পারে না বরং দেশের অর্থনীতির উপর তার অভিঘাত মারাত্মক। ফলে স্থানীয় স্তরে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ববিধিসহ বাকি নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর