ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে মৌসুমি বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও অনেকে।
জাভা সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ দুর্যোগ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার মধ্যরাতের পর ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ ফ্লোরেস বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়ে।
উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি। জানান, বন্যায় চারটি উপজেলা এবং সাতটি গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিএনপিবি মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মীরা ৪১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।’
পূর্ব ফ্লোরেসের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের এখানে বন্যা-ভূমিধসে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের ৫৫ জনই লেমানেল গ্রামের। যদিও এই প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত করেনি ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ।
এ ছাড়া পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
তিমুর বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম জোস গুসমাও ডোস রেইস বলেন, ‘দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান চলছে।’
দ্বীপ রাষ্ট্রটির বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে প্রতিবছর বন্যা ও ভূমিধস হয়। এতে প্রাণহানি হয় বহু মানুষের।