বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে অনেক লাভ: সৌদি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৫০

‘২০০২ সাল থেকেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এটাকে বলা হচ্ছে আরব শান্তি পরিকল্পনা। এই অঞ্চলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তখনই সম্ভব হবে যদি আমরা ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি মর্যাদা ও অধিকারের রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারি।’

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে সৌদি আরবসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যই লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।

বৃহস্পতিবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

এ দিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে এটি পুরো অঞ্চলেই অসাধারণ সুযোগ এনে দেবে। এটি হলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অগ্রগতি হবে।’

তবে সাক্ষাৎকারে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি তখনই সম্ভব যদি ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না সামনে কোনো চুক্তি হতে যাচ্ছে কি না। তবে এটি অনেকটাই নির্ভর করছে দুই পক্ষের শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর।’

ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, ‘২০০২ সাল থেকেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এটাকে বলা হচ্ছে আরব শান্তি পরিকল্পনা। এই অঞ্চলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তখনই সম্ভব হবে যদি আমরা ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি মর্যাদা ও অধিকারের রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘এটি সম্ভব হলে আমরা একটি নিরাপদ মধ্যপ্রাচ্য পাব। ইসরায়েলসহ সবাই এর অগ্রগতিতে অংশ নিতে পারবে।’

ইসরায়লের মুসলিম নাগরিকরা মক্কায় হজ করতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনো সমাধানে আসতে পারলে আমরা ইসরায়েলের সব ধর্মের মানুষকেই সৌদি আরবে স্বাগত জানাব।’

সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ইসরায়েলের মুসলিমরা সরাসরি মক্কায় হজে যেতে পারেন না। হজ করার জন্য জর্ডানের পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে ঢুকতে হয় তাদের।

প্রথম আরব রাষ্ট্র হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আব্রাহাম অ্যাকর্ড নামক যৌথ সমঝোতার ভিত্তিতে এই সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আরব আমিরাতের পর আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যুক্ত হয় বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান।

এতদিন ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার অবস্থানে ছিল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো।

১৯৭৯ সালে মিসর প্রথম এবং তারপর ১৯৯৪ সালে জর্ডান দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

একে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনের জনগণের পিঠে ছুরি দেয়া বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল সৌদি সরকার।

তবে ২০০২ সালে ‘আরব শান্তি উদ্যোগ’-এর প্রস্তাব দেয় সৌদি আরব। যার প্রতিফলন ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের দ্বিপাক্ষিক সমাধান। তাতে বলা হয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আরোপিত ইসরায়েলের দখলদারিত্ব প্রত্যাহার করতে হবে তেলআবিবকে। গোলান হাইটস, পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরসহ অবরুদ্ধ সব অঞ্চল থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে। তা হলেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেবে অন্যান্য আরব রাষ্ট্র।

অনেক বছর ধরে এ প্রস্তাবে আরব লিগ সম্মতি জানিয়ে গেলেও কখনোই এটি কার্যকর হয়নি। উল্টো পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলোতে দখলদারিত্ব ও অবৈধ বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

এ বিভাগের আরো খবর