সৌদি আরবের দক্ষিণে জনবসতিহীন সীমান্ত এলাকায় দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হামলাগুলো হয় বলে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বরাতে জানিয়েছে আল জাজিরা।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল এখবারিয়ায় জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, মঙ্গলবার ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট জানিয়েছে, হামলার জবাবে সাদায় হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। একই সঙ্গে হুতিরা যেসব লঞ্চপ্যাড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে ছুড়েছিল, সেসবও ধ্বংস করা হয়েছে।
জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় হুমকির উৎস নিষ্ক্রিয় ও ধ্বংস করার লক্ষ্যে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
মঙ্গলবারের হামলার বিষয়ে হুতিদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে সোমবার হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারিয়া বলেছিলেন, সৌদি আরবের সামরিক ক্ষেত্রে তিনটি সশস্ত্র ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে। দেশটির আসির প্রদেশের আভা বিমানবন্দর, একই প্রদেশের খামিস মুশাইত শহরের কাছে কিং খালিদ বিমানঘাঁটিতে হামলাগুলো হয়।
ওইসব অঞ্চলে ড্রোন হামলা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। তবে খামিস মুশাইতকে লক্ষ্য করে হুতিদের একটি ড্রোন ঠেকানো হয়েছে বলে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়।
সম্প্রতি সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে হুতিদের হামলা বেড়েছে।
চলতি বছরের ৭ মার্চ সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট জানায়, লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো হয়। সৌদি শহর রাস তানুরায় বিশ্বের বৃহত্তম অফশোর তেল সংরক্ষণাগার কেন্দ্রও ওইসব লক্ষ্যের মধ্যে ছিল।
ওই দিন সৌদি শহর ধাহরানে রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর আবাসিক ভবনেও হামলা চালানো হয়।