বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইন্দিরার জরুরি অবস্থাকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বললেন রাহুল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ মার্চ, ২০২১ ২১:২২

ভারতে জরুরি অবস্থার সময়ে সাংবিধানিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। গণমাধ্যম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল এবং অনেক বিরোধী নেতাকে কারাবন্দি করা হয়েছিল। রাহুল সমস্ত ‘ভুল’ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে সে সময়ের পরিস্থিতি আলাদা ছিল।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৫ সালের জুন মাস থেকে ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন তা ‘ভুল’ ছিল এবং সে সময় যা ঘটেছিল তাও ‘ভুল’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ঠাকুমা (ইন্দিরা গান্ধী) নিজেও তা মেনেছিলেন।

মঙ্গলবার আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাহুল এ মন্তব্য করেন।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটি ছিল কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর সঙ্গে।

ভারতে জরুরি অবস্থার সময়ে সাংবিধানিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। গণমাধ্যম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল এবং অনেক বিরোধী নেতাকে কারাবন্দি করা হয়েছিল।

রাহুল সমস্ত ‘ভুল’ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে সে সময়ের পরিস্থিতি আলাদা ছিল।

ক্ষমতাসীন বিজেপি- যার নেতারা জরুরি অবস্থার সময় কারাগারে বন্দি ছিলেন, তারা জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে প্রায়ই আক্রমণ করেন।

বিশেষ করে বিজেপি নিজেই যখন বাকস্বাধীনতা এবং মতবিরোধের অধিকারকে খর্ব করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয় তখনই ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে আনে।

গত বছরের জুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেস এবং গান্ধীদের নিয়ে ধারাবাহিক টুইট করে বলেছিলেন, ‘এক পরিবারের ক্ষমতার লোভ’ দেশকে রাতারাতি ‘কারাগারে’ পরিণত করেছিল।

শাহ টুইট করেছিলেন, ‘প্রেস, আদালত, বাকস্বাধীনতা সব পদদলিত হয়েছিল। দরিদ্র ও নিপীড়িতদের উপর নৃশংসতা করা হয়েছিল।’

কৌশিক বসুর প্রশ্নের জবাবে রাহুলের দাবি, জরুরি অবস্থা এবং বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) লোকজন এনে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভরিয়ে তোলা হচ্ছে। নির্বাচনে বিজেপিকে যদি পরাজিতও করে কংগ্রেস, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থেকে গেরুয়া শিবিরের লোকজনকে ছেঁটে ফেলার উপায় নেই।

রাহুল বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্যই আধুনিক গণতন্ত্রের পরিচয়। প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে। বর্তমানে আরএসএস সেই স্বাধীনতার উপরই আঘাত হানছে। সুকৌশলে, নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও পরিকল্পনা অনুসারে গোটা বিষয়টি সম্পাদন করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের অবক্ষয় হচ্ছে বলব না, ভারতে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা হচ্ছে।’

এ নিয়ে মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে নিজের কথোপকথনের প্রসঙ্গ টেনে রাহুল জানান, ‘রাজ্য সরকার ভেঙে যাওয়ার আগে কমলনাথ জানিয়েছিলেন, আরএসএস অনুগত আমলারা কেউ তার কথা শুনছে না। এখানেই জরুরি অবস্থার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির পার্থক্য বোঝা যায়। কংগ্রেস কখনও দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেনি। সত্যি কথা বলতে কি, কংগ্রেসের সেই ক্ষমতাও নেই। আমাদের দলীয় কাঠামোই তাতে অনুমোদন দেয় না।’

এদিন এক ঘণ্টা ২১ মিনিটের আলোচনায় দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, অর্থনীতি, বিদেশনীতি, পরিবেশ দূষণ থেকে কংগ্রেস দল নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন রাহুল গান্ধী।

কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে রাহুল বলেন, ‘আমি প্রথম ব্যক্তি যে মনে করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলে নির্বাচন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে একটা ব্যাপার খুব আশ্চর্য, অন্য কোনো দলকে এই প্রশ্ন করা হয় না। বিজেপি, বিএসপি এবং সমাজবাদী পার্টির মতো দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেন না।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, ‘আরএসএস-বিজেপি-নৃশংস পুঁজিবাদের মেলবন্ধন বর্তমান ভারতের মূল চালিকাশক্তি। এই মেলবন্ধনের প্রথম প্রকাশ ‘গুজরাট মডেলে’, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্ভাবন।

এ বিভাগের আরো খবর