বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগে সক্রিয় পুলিশ-গোয়েন্দা

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:০১

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সিবিআইয়ের সক্রিয়তা আসলে বিজেপির আমন্ত্রণপত্র। দুর্নীতিতে জড়িত তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে নেয়ার ছক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সিবিআই।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে বেড়েছে গোয়েন্দা ও পুলিশের সক্রিয়তা।

মাদক পাচারে যুক্ত থাকার অপরাধে মঙ্গলবারই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং।

এদিকে এদিন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

সম্প্রতি কোকেনসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী। পুলিশের দাবি তার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নামেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।

মঙ্গলবার দিনভর রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চলে। সূত্রের খবর, রাকেশ বাড়ি ছিলেন না। তার দুই ছেলে সাহেব ও সুমন কলকাতার পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেন।

পামেলা-কাণ্ডে রাকেশের নাম প্রকাশ্যে আসতেই সে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বর্ধমানের গলসির কাছ থেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা রাকেশকে গ্রেপ্তার করে।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দাবি, ‘রাকেশকে জেরা করলেই বিজেপির অন্য নেতাদের নাম উঠে আসবে’।

অন্যদিকে বিজেপির দাবি, প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল।

তবে মাদক-কাণ্ডে দলের নেতা-নেত্রীদের জড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না বিজেপি নেতারা। তারা শুধু বলছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। দল কোনোভাবেই অপরাধীদের সঙ্গে নেই বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারে গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এদিন মমতার ভাইপো অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

গতকাল তারা অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, দুজনের বক্তব্য খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তৃণমূল অবশ্য বলছে ভোটের মুখে বদনাম করার জন্যই সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের কুনাল ঘোষ।

রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থার এই টানাপোড়েন নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, ‘সিবিআইয়ের সক্রিয়তা আসলে বিজেপির আমন্ত্রণপত্র। দুর্নীতিতে জড়িত তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে নেয়ার ছক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সিবিআই।’

এরই মধ্যে ভোটের দামামা বাজছে রাজ্যে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে পুরোদমে ভোট প্রচার। তবে ভোটের তারিখ এখনও ঘোষিত হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর