ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে এক সময় বামদের অবাধ বিচরণ ভূমি বলা হতো। টানা ৩৫ বছর বাম সরকার ক্ষমতায় ছিল এই রাজ্যে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্তমানে শাসক দল তৃণমূলের চার জন সংসদ সদস্য রুপালি পর্দার তারকা। বিজেপির রয়েছেন দুই জন অভিনেত্রী সাংসদ। গায়ক মন্ত্রীও রয়েছেন তাদের। বিধানসভাতেও রয়েছে তারকাদের দাপট।
এপ্রিলের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে তারকাদের চাহিদা তুঙ্গে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন তারকা দলবদল করেছেন। আবার কয়েকজন সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।
তারকা সর্বস্ব রাজনীতিতে বিজেপি এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী করার মতো হেভিওয়েট কাউকে পায়নি। তৃণমূল অবশ্য বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সামনে রেখেই ভোটে লড়বে।
গুঞ্জন আছে সাবেক ক্রিকেট তারকা সৌরভ গাঙুলির জনপ্রিয়তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। যদিও রাজনীতির ময়দানে নামতে অনিচ্ছুক-- সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক।
মঙ্গলবার বাংলার আরেক তারকা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত। এতে ফের জল্পনা শুরু হয় মিঠুনের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে।
এক সময়ে মিঠুন ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ। মাঝপথে ইস্তফা দিয়ে রাজনৈতিক বানপ্রস্থে রয়েছেন তিনি। মুম্বাইতে মোহন ভগবতের সঙ্গে 'আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়েছে' বলে বিতর্ক এড়িয়ে যান তিনি।
নতুন করে বিতর্ক দানা বাধে উত্তমকুমার পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে বাংলা সিনেমার সবচাইতে ব্যস্ত নায়ক প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। তার বেহালার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বিজেপির অনির্বান গাঙুলি।
অনির্বান ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তিনি বিজেপির বেশ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। সস্ত্রিক প্রসেনজিতের বাড়িতে সৌজন্য সফরেই গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অনির্বান।
প্রসেনজিত জানিয়েছেন, তাকে একটি বই উপহার দিতে এসেছিলেন অনির্বান। এ সময় তিনি বলেন ‘লিখে রাখুন প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় রাজনীতিতে নামছে না।’
বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক নায়ক দীপক চক্রবর্তী। চিরঞ্জিত নামে পরিচিত তৃণমূলের এই তারকা বিধায়ক জানিয়েছেন, নির্বাচনে লড়াইয়ের ইচ্ছা নেই তার। অব্যহতি চেয়েছেন রাজনীতি থেকে।
এদিকে, বুধবার একঝাঁক তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রী বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম যশ দাশগুপ্ত।
যশ বলেন, ‘আমার বয়স কম। তাই আমার লক্ষ্য তরুণ প্রজন্ম। বিজেপি সব সময়ে তরুণ প্রজন্মের উপরেই জোর দিয়েছে।’
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘রাজনীতি মানেই পরিবর্তন। আর পরিবর্তন আনতে গেলে সিস্টেমের মধ্যে এসে কাজ করা দরকার।’