ড্রোন হামলা চালিয়ে ৪৮ স্বজনকে হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে ইয়েমেনের দুটি পরিবার।
বৃহস্পতিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আল আমেরি ও আল তাইসি নামে পরিবার দুটির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সংস্থা ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটসে আবেদনটি করে মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রাইভ।
আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইয়েমেনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে’ সাতটি ড্রোন হামলায় বেআইনিভাবে ওই নাগরিকদের হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশুও ছিল। এতে ওই পরিবার দুটি জীবন ও সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে চাপ দিতেও কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবার দুটি।
তারা প্রথম যে হামলার কথা উল্লেখ করেছে, সেটি ঘটে বারাক ওবামার আমলে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। এ সময় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হন। এদের মধ্যে সাত জন আল আমেরি পরিবার ও পাঁচ জন আল তাইসি পরিবারের।
ওই সময় স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছিল, নিহতদের মধ্যে কয়েক জন আল কায়েদার সদস্য ছিলেন। তবে সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পরিবার দুটি।
২০১৩ সালের ওই হামলার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে আরও ছয়টি হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে রিপ্রাইভের আইনজীবী জেনিফার গিবসন বলেন, ‘কমিশন থেকে পরিবার দুটি প্রথমত যা আশা করছে সেটি হলো, তাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটি স্বীকার করা।’
তিনি বলেন, ‘হামলা ঠেকাতে তারা বারবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইয়েমেনের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কমিশনে আবেদন করে তারা এটি বলার চেষ্টা করছে, তোমরা (যুক্তরাষ্ট্র) ভুল করছো। আমরা যা করেছি বলে তোমরা ভাবছো, তার সঙ্গে আমরা জড়িত নই; হামলা থামাও।’
বুধবার মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ দিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানান, সৌদি আরবের বোমা হামলায় ইয়েমেনে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন তিনি।
ইতোমধ্যে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে অস্ত্র বিক্রি সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।