ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বদলানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত দূত রিচার্ড মিলস।
মিলস মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ কথা জানান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সংকট নিরসনে সমর্থন দেবেন বলেও জানান রিচার্ড মিলস।
পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা নিয়ে রাষ্ট্র গড়তে চায় ফিলিস্তিনিরা। ১৯৬৭ সালে ওইসব অঞ্চল দখলে নেয় ইসরায়েল।
মিলস নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে একতরফা সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাবে।
তার মতে, ভূখণ্ড দখল, বসতি স্থাপন, ঘরবাড়ি উচ্ছেদ, সহিংসতায় উসকানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কারাবন্দিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের মতো উদ্যোগ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে দুঃসাধ্য বিষয়ে পরিণত করে।
ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের বার্ষিক সহায়তা বন্ধ করেছিলেন ট্রাম্প।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মিলস বলেন, ফিলিস্তিনিদের সহায়তা কার্যক্রম আবার শুরু করতে চায় বাইডেন প্রশাসন। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের সময় বন্ধ হওয়া ফিলিস্তিনের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো আবার চালু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
মিলস বলেন, ‘এসব লক্ষ্য অর্জনে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে বাইডেন প্রশাসন।’
ট্রাম্পের শাসনামলে ফিলিস্তিনিদের অধিকার ব্যাপকভাবে উপেক্ষিত হয়। ওই সময় ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেন ট্রাম্প।