যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বিরোধের মধ্যেই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান।
শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, এ দিন ভারত মহাসাগরে পরীক্ষা করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে।
দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি বলেন, ‘আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা প্রমাণ করে যে ইরানের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি ও সমুদ্রপথে যেকোনো হুমকিকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’
ইরানের চতুর্থ বৃহৎ এই সামরিক মহড়া সম্পর্কে আইআরজিসির কমান্ডার ইন চিফ হোসেইন সালামি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো শত্রুর বিমানবাহী জাহাজ ধ্বংসের সামর্থ্য অর্জন করা।’
শুক্রবার দেশটির এক মরুভূমি অঞ্চলের একটি মহড়ার ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে ইরান। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম ড্রোনও দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার মহড়ার দ্বিতীয় দিনে নিজেদের সমুদ্রসীমায় একটি সাবমেরিন শনাক্ত করে ইরান। পরে জাহাজটিকে সতর্কবার্তা দিলে সেটি চলে যায়। সাবমেরিনমটি যুক্তরাষ্ট্রের ছিল বলে ধারণা করছেন ইরানি কর্মকর্তারা।
গত দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
৩ জানুয়ারি ছিল ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রথম বার্ষিকী। ২০২০ সালে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত হন সোলেইমানি।
একে কেন্দ্র করে ইরান আক্রমণাত্মক কিছু করতে পারে এমন আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক বোমাবাহী দুটি বিমান পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সে সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ অভিযোগ করেছিলেন, যুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ক্ষমতা ছাড়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালাতে পারেন বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
৮ জানুয়ারি একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রের ছবি প্রকাশ করে ইরান। দেশটির দাবি, একই রকম আরও ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র রয়েছে তাদের।