করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে গণহারে টিকা প্রদান শুরু করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন- ইইউভুক্ত দেশগুলো। সময়টাকে ‘ঐক্যের মর্মস্পর্শী মুহূর্ত’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইইউর প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন শনিবার জানান, তাদের জোটের ২৭টি দেশের সবকটিতে করোনার টিকা বিতরণ করা হয়েছে। টিকাটি যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন ফাইজার ও জার্মানির বায়োটেকনোলজি কোম্পানি বায়ো-এনটেকের যৌথ চেষ্টায় উদ্ভাবিত।
করোনারোধী আরও কয়েকটি টিকা থাকলেও বেশির ভাগ দেশই নিচ্ছে ফাইজারেরটি। আগেই এই টিকা প্রদান শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইসরায়েল, সৌদি আরব, কুয়েতসহ অনেক দেশে।
টিকা পেয়ে শনিবারই ইইউর অনেক দেশ তা প্রয়োগ শুরু করেছে।
করোনায় ব্যাপকভাবে ভুগছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। এই জোটে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার। শনাক্ত ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৪০ হাজার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত ইইউর প্রায় সব দেশে কঠিন লকডাউন চলছে।
যুক্তরাজ্য থেকে অত্যন্ত ছোঁয়াচে করোনার নতুন ধরনটি দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে টিকা প্রদান শুরু হলো ইইউভুক্ত দেশগুলোতে। পর্যায়ক্রমে টিকা দেয়া হবে এই জোটের ৪৪ কোটি ৬০ মানুষকে।
এর আগে ফাইজার ও বায়ো-এনটেকের টিকা প্রদানের জন্য অনুমোদন দেয় ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি ও ইউরোপিয়ান কমিশন। দুই বিলিয়নের বেশি টিকার ডোজের জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছে ইইউ।
টিকা পাওয়া মাত্রই তা প্রদান শুরু করে জার্মানি। প্রথম ডোজটি দেয়া হয়েছে হালবারস্টেটের একটি নার্সিং হোমের শতবর্ষী এক নারীকে।
জার্মানির প্রতিবেশি হাঙ্গেরিতে প্রথম ডোজটি দেয়া হয়েছে একজন চিকিৎসককে। এ ছাড়া স্লোভাকিয়ায়ও টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।