করোনাভাইরাসের টিকার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে টেলিভিশন লাইভে এসে টিকা নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
হোয়াইট হাউজের পাশে আইজেনআওয়ার নির্বাহী অফিস ভবনে ফাইজার ও বায়ো-এনটেকের উদ্ভাবিত টিকাটি নেন পেন্স। এ সময় পেন্সের স্ত্রী ক্যারেন পেন্স ও যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সার্জন জেনালের জেরোমে অ্যাডামসও টিকা নেন।
ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারের একটি দল এসে তাদের টিকা দিয়ে যায়।
বাঁ বাহুতে টিকা নেয়ার পর পেন্স প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমি কিছুই অনুভব করিনি। বেশ লাগছে।’
করোনা প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের বড় একটা অংশ তা গ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। টিকার প্রতি আস্থাও নেই অনেকের।
পিউ রিসার্স সেন্টার এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ করোনার টিকা নিতে ইচ্ছুক নয়। দেশটির মাত্র ৬০ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা নিতে প্রস্তুত বা রাজি। এর আগে সেপ্টেম্বরে জরিপে দেখা গিয়েছিল টিকা নিতে রাজি ৫১ শতাংশ মানুষ।
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে প্রকাশ্যে টিকা নেবেন তিনি।
এ ছাড়া সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট- বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটিনও প্রকাশ্যে করোনার টিকা নেয়ার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে টিকা নিয়ে নাগরিকদের ভুল ভাঙবে বলে বিশ্বাস বাইডেনের।
সাধারণত কোনো রোগের টিকা উদ্ভাবন, উৎপাদন ও বিতরণে লেগে যায় আট থেকে ১২ বছর সময়। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকা ব্যবহার পর্যায়ে নিয়ে আসাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘অলৌকিক’ বলে উল্লেখ করেছেন পেন্স।
তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য লাখ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের ব্যবস্থা করার পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। সত্যিই এটা মিরাকল।’
করোনার টিকা উদ্ভাবনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া অপারেশন র্যাপ স্পিড উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন পেন্স। জানান, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে আরও একটি কার্যকর টিকা পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রবাসী।